পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ፃ ቅ ৪। জরাস্বরের পথি’—মুন্সী এনায়েতুল্ল সরকার রচিত, ১৫৫নং মসজিদ বাড়ী, কলিকাতা । ৬ । ‘সত্য বিবির কেচ্ছ”—মুন্সী আরজুদিন রচিত, ৩৩৭নং আপার চিৎপুর রোড, কলিকাতা । ৬ । ‘মালতী কুসুম মালা'—মোহাম্মদ মুন্সী রচিত, ১৫৫নং মসজিদ বাড়ী, কলিকাতা । ৭ । ‘কাঞ্চন মালার কেচ্ছা’ — ঐ હૈ ৮ । “সখী সোনা”—মোহাম্মদ কোরবান আলী রচিত, ১৩৮নং মেছুয়াবাজার ষ্ট্রীট, কলিকাতা । ৯ । ‘যামিনী ভান’—মোহাম্মদ খাতের মরহুম রচিত, ১৫৫১নং মসজিদ বাড়ী ষ্ট্রট, কলিকাতা । ১• । ‘ইন্দ্র সভা’ —মুন্সী আমানত মরহুম রচিত, ৩৩৭নং চিৎপুর ১১ । শত বসন্তের পুথি’—মুন্সী গোলাম কাদের রচিত, ১৫৫।১নং মসজিদ বাড়ী। ১২ । “সাপের মন্তর’—মীর খোররাম আলী ঐ ইহা ছাড়া ফারসীর অনুবাদ ও মুসলমান-ধৰ্ম্মবীরগণ লইয়া যে কত বাঙ্গল কাব্য লিখিত হইয়াছে, তাহা বৰ্ত্তমান সময়ে আমাদের উল্লেখ করা একরূপ অসাধ্য। দুঃখের বিষয়, হিন্দুরা বাঙ্গলা সাহিত্যকে যেরূপ সাগ্রহে গ্রহণ করিয়াছেন, আধুনিক শিক্ষিত মুসলমানেরা তাহা করেন নাই। আমি কিছু পরেই মুসলমানদের বঙ্গসাহিত্যে একটা বিরাট আবদানের কথা বর্ণনা করিব, সেই অবদান বিস্ময়কর । আমার বক্তৃতার শেষাংশ শুনিবার পর যদি আপনার কেহ বলিতে চাহেন, যে এই বাঙ্গলা সাহিত্য—হিন্দু-সাহিত্য, ইহাতে মুসলমানের কোন স্বার্থ নাই—তবে তাহাদের ভুল ধারণা নিশ্চয়ই দূর হইবে ।