পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ কয়েকটি গল্পী-গীতিকার সংক্ষিপ্ত পরিচয় আমি এই অধ্যায়ে কয়েকটি পল্লী-গীতিকার সংক্ষিপ্ত পরিচয় আপনাদিগকে দিব । আমি দেখাইয়াছি, গীতিকাগুলির রচয়িত হিন্দুই হউন্‌ বা মুসলমানই হউন-অধিকাংশ স্থলেই তাহাদের গায়েন শুধু মুসলমান। র্তাহারাই প্রধাণতঃ ইহাদের সংরক্ষক। আমি আপাততঃ যে-সকল গীতিকার কথা আলোচনা করিব, তাহার সকলগুলিই মুসলমান কবিদের রচিত। ১ । প্রথমতঃ মাণিকতারা বা ‘ডাকাইতের গানটি সম্বন্ধে লিখিব । কবি জামায়েতুল্লা লিখিয়াছেন,—তিনি বুদ্ধবয়সে এই গান রচনা করিয়াছেন : আমীর নামে আর একটি লোকের ভণিত গানটির একটি স্থলে পাওয়া যায়, কিন্তু আমার মনে হয়, এই আমীর গায়েন ছিলেন, কবি ছিলেন না । পালাটি ৮০০ ছত্রে সম্পূর্ণ, কিন্তু এই গীতিকাটি খণ্ডিত। বিহারী চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় ইহার এক তৃতীয়াংশ মাত্র সংগ্ৰহ করিয়া পরলোকগমন করেন, বাকি দুই তৃতীয়াংশ উদ্ধার হয় নাই । চন্দ্রকুমার দে মাত্র আর একটি જૂઠ્ઠા খুঁজিয়ী পাইয়াছিলেন । সেই প্রাপ্ত-অংশ 2 : ১৫ ছত্র, ৮০০ ছত্র একতৃতীয়াংশ হইলে সম্পূর্ণ পালাটি হয়ত আনুমানিক ২৪০০ পংক্তি হইত। এই গীতিকাটিতে যে খুব উচ্চ-দরের কবিত্ব আছে তাহা নহে। মাঝে মাঝে মেঘান্তরিত রৌদ্র এবং ঘন-বিন্যস্ত ঘটনারাশির মধ্যে মধ্যে কাব্য-লক্ষ্মী উকি মারিয়া যান মাত্র । কিন্তু কাব্যটি আদ্যন্ত গৃঢ় নাট্যশিল্পে গ্রথিত । লেখা একেবারে বাহুল্য-বজ্জিত ও সরল পাড়াগেয়ে ভাষায় এই গীতিক লিখিত হইয়াছে। বিষয়টি সংক্ষেপে এই—