পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-بی. --مبے-م------ م - - প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান > e ‘ মুইট নিত, কাইড়া নিত জহরপাতি যত । ঐরান জঙ্গলে নিয়া নেংটা ছাইড়া দিত। কেউ বান মাথায় কুড়াল মারে, কেউ বান কাটে গল । হস্তপদ বন্ধন কইরা দেয়রে পানির ভলা ॥ খুইলা নিত জহরপাতি ও যা অঙ্গে পইরাছে। বাপি টোপলা খুইলা নিজে দিত ওস্তাদের কাছে।” এই ওস্তাদ অর্থ—দসু্যদের সর্দার। পাঠক দেখিবেন, ভাষা ও ছন্দ পাড়াগায়ের খালের মত ক্রীড়াশাল ও সহজ গতিতে চলিয়াছে, তাহা দুরূহ পাণ্ডিত্যের বাধ-দ্বারা রুদ্ধগতি বা ভারাক্রান্ত হয় নাই। কবি যাহা বলিয়া যাইতেছেন তাহার ভাষা শিশুর কথার মত অবাধে তাহার মুখে ছুটিতেছে, তাহাতে কোন চেষ্টা নাই, কোন কৃত্রিমতা নাই । এই গঞ্জের ঘাটে বিশু-নাপিত চারি পুত্র হারাইয়া বিলাপ করিতেছে ; একমাত্র অতি শিশু বামু অবশিষ্ট । কিন্তু মাথায় করাঘাত করিয়া বলিতেছে— “এক বাস্থ পেটি তেল কাইভ হলেই সব গেল মা বাপের অন্ধলের নড়িরে।” পতির মৃত্যুতে বাস্থর মা আত্মহত্যা করিতে বনে সাইতেছে-- “এই কথা না বলিয়া নারী মরিবারে ষায় । পাছে থলে মা-ম৷ বলি’ বাস্থ ডাকে মায় ॥ ফির চাইয়া বাস্তুর মা দেখল সোনার মুখ । সোস্তানের মোমত আইস ছাইয়া নিল বুক ॥ ভুইলা গেল পতির কথা, আর পেটের জাল । আমির কয় আর মরব। ক্যানে চক্ষু মুইছা ফ্যাঙ্গ ॥”