পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান SYS ইহার পর বাস্থ স্বয়ং উপযাচক হইয়। শিমুলতলাবাসী সাধু-শীলের নিকট তাহার কন্যা মাণিকতারাকে যাদ্ধা করিতেছে। সাধু শীলের গৃহের পারিবারিক দৃশু—রন্ধন গৃহে তাহার পুত্ৰগণের বীরত্বের অভিনয়, বউএর ডাল ফুটাইবার ব্যর্থ চেষ্টা ও পর পর নানা খাদ্যের আয়োজন, তাহদের আতিথেয়ত ও কুসংস্কার, বামুর পাত হইতে তাহার লোলুপ-দৃষ্টি বঞ্চিত করিয়া উৎকৃষ্ট ভাজ খাদ্যগুলি তুলিয়া লওয়া প্রভৃতি লইয়া যে বাস্তব-চিত্র অবতারিত হইয়াছে, তাতা সরল অথচ স্থঙ্ক দৃষ্টির পরিচায়ক, সত্য ও রহস্ত প্রিয়তা-মণ্ডিত—সে বর্ণনার তুলনা নাই। বাস্ত্র প্রথম গঞ্জের হাটে তাহাদের নিজ বাড়ীতে একদিন সেই মাণিকতারাকে দেখিয়াছিল । সে তখন ছোট, এখন পূর্ণযৌবনে বাস্থর মায়ের সেই স্নিগ্ধ আদর-আপ্যায়ন মাণিকতারার মনে ছিল । সে বামুকে বলিতেছে— “বাপ-মায়ের সাথে আমি যাইয় অন্দরে। পথ চলিতে দেইখা আইলাম রইচ তুমি ঘরে। ফুল বাতাসা দিয়া খাইলাম বিন্নিধানের খই। তোমার ম যে আইন দিল গামছা-বাধা দই। তোমার মা কৈল হাইসা আমাকে কোলে নিয়া । আমার ঘরে আইস মা ঘরের লক্ষী হইয়া ॥” মাণিকতারার অনুরাগ সেই শৈশব হইতে অস্কুরিত, আজ “বাইল খালির” জলে উভয়ে উভয়কে দেখিয়া মুগ্ধ হইল। বামু ভাবিল—এই নদীর তীর উজ্জল করিয়া “বালিয়া খালির” শ্রোত এই রূপসীর আঁচল ধরিয়া টানিতেছে— “বাইল খালির টলটল জল অচল ধইরা টানে। ধষ্ঠ হৈল শিমূলতলা, বাইচ থাক তুমি। ধান দূৰ্ব্ব আরমইলক মল্লিকা দিয়া পূজা করযু আমি।”