পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান Տ Ջ> অধিকাংশই চামী-সম্প্রদায় এই গানটি চিত্রাপিত পুতুলের মত শুনিয়াছিল। মধ্যে মধ্যে শ্রোতার বক্ষ ভেদ করিয়৷ যে দীর্ঘশ্বাস উঠিতেছিল ও করুণ রসে আদি গদগদ কণ্ঠ হইতে যে রুদ্ধ-ক্রদনের অক্ষুট-স্বর সহসা শোনা যাইতেছিল, তাহ ছাড়া এই নীরব মুগ্ধ শ্রোতাদের আর কোন সাড়া-শব্দ শোনা যায় নাই। পালাটির নায়ক মনসুর ডাকাত। “সেইত জঙ্গলে মনসুর ঘোরে অবিরত। ভূঞের মানুষ ভাবে তারে বাঘ-ভালুকের মত। বাপ নাইরে, মা নাইরে, নাইরে বাড়ী-ঘর । ডাকাতি করিয়া ঘোরে জঙ্গলের ভিতর ॥ খুন করে, ডাকাভি করে, মনে নাই তার দুখ। সিংকাঠি লৈয়া বাইৱ করে ঘরের সিন্ধুক ॥ এমন ডাকাইভ হৈল, কি বলিব হয়। মরাব কাফন চুরি করি বাজারে বিকায়। দাফনের সংবাদ যখন পায় সে মন্স্তুর চোরা । রাইভ নিশিতে শুরু করে মরার কবর খোড়া। দুই চক্ষু দেখতে লাল, সুরুজ বরণ। মুখের আওয়াজ যেন দেয়ার গর্জন। মানুষ মারিতে তার দেলে দুঃখ নাই। খুলী হৈয়া ধন-দৌলত সঙ্গীরে বিলায়। কেহ বলে মরা খায় ডাকাইভ মনুস্থর। কেহ বলে দেও-র মতন তাহার গায়ের জোর । দল-বল হৈল তার নানান মোকামে। কোলের ছেইলা শান্ত হয় কাকন-চোরার নামে ৷ ”