পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান > S○ “মায়ে তুলিয়া রাখায় বিন্নি ধানের খই। সুয়ামীরে খাওয়ায় কন্যা গামছা বাধা দই ॥ সারাদিন খাটি সাধু পায় নারীর সঙ্গ। কাছে খাড়াইয়া কন্যা বাতাস করে অঙ্গ। ঠাণ্ড নদীর পানি আনি খাওয়ায় স্বামীরে । আসমানতারা শাড়ী তার বাভাসেতে উড়ে ॥ উজ্জাল সাধু হাটে যায় কিনা আনবে কি । অণয়নার লাগি কিনা আনে আভের চিরুণী ॥ উজ্জাল সাধু হাটে যায় কোণাকুনি পথ, । আয়নার লাগি কিনা আনে সোনার একটি নথ ” কিন্তু আবার সাধুকে বাণিজ্যে যাইতে হইল, আয়নার শত নিষেধ সে শুনিল না । হায় ! এই বুঝি সুখের অবসান, শেষ দেখা । আয়নার অন্তর পড়ফর করিয়া উঠিল । লখন সাধু কোন বাধাই মানিল না, তখন চোখ মুছিতে মুছিতে— “অভাগিনী কন্যা কহে শুন পরাণের পতি । দেওয়া ডাকলে তখন বাইন্ধ নায়ের কাছি ॥ অভাগিনী আয়ন৷ কঁাদে আমার মাথ খাও। রাইত নিশিতে বঁধু তুমি না বাহিও নাও। গরুয়া ভাঙ্গরের মুলুক সে দেশে না যাইও । ছয় মাসের মধ্যে তুমি ফিরিয়া আসিও।” বাঙ্গাল দেশের আম-কাঠালে ঘেরা–কুন্দ, শেফালী, অপরাজিত, অতসী পুর্ণ আঙ্গিনায় কোকিলের ডাকে কুটিরে কুটিরে অন্তঃসলিল নদীর দ্যায় যে প্রেমধার সাধবী নারীদের অন্তরে অন্তরে বহিয়া যায়—তাহার খোজ কে রাখে ? পল্লী কবির সেই সন্ধান দিয়াছেন ।