পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান Y 86t হায়রে । স্বামীর ভিটার তরুলতা তেমনই আছে, কোন ডালে বাউই পাখী তেমনই করিয়া বাসা বাধিতেছে । বাউই, তোর বৃথা ঘর বাধা, তোর মত আয়নীরও ঘর থাকিতে ঘরের সুখ অদুষ্টে নাই । আয়নার পা পর থর কঁাপিতেছে ঐত সেই ঘর – মে ঘরে স্বামীর সঙ্গে তাহার কত সোহাগের দিন কাটিয়াছে । অভাগিনী উঠানে তিন বৎসর পূৰ্ব্বে মেন্দী-গাছের চার পুতিয়াছিল, এখন তাঙ্গ বড় হইয়াছে। সে একবার স্বামীর চাদ-মুখখানি দেখিয়া লইল, আজ আর সে স্বামীর কেচ নয়। যে-ঘর সে নিত্য ঝারিয়া পুছিয়া ঝকৃঝক্‌ করিয়া রাখিত, সেই ঘরে চাদের মত মুন্দর একটি ছেলে লইয়। সপত্নী আদর করিতেছে । আয়নাকে দেখিয় শাশুড়ী বাহির হইয়। আসিলেন এবং আদর করিয়। বলিলেন— “তুমি ম| কে ? তোমার মতন আমার এক কন্য। বাহির হইয়া গিয়াছে, তার শোকে আমার বুক ফাটিয়া যাইতেছে, সত্য করিয়া বল মা, তুমি কাদিতেছ কেন ?” কুঞ্জরিণীবেশী আয়ন বলিল—“তোমার মুখ আমার মায়ের মুখের মত, এজন্ত কাদিতেছি । আমি আমার মায়ের বড় আদরের ছিলাম— “কঁদিলে অভাগী মাগো আইভ ধাইয়া। গায়েতে লাগিলে ধূলা আঁচলে দিত মুছিয়া ।” এখন দেশে দেশে কাদিয়া ফিরি, কেহ জিজ্ঞাস করেন ।” তাহার কান্নায় শাশুড়ীর মন গলিয় গেল । তিনি বলিলেন—“তুমি যদি ম আমার আয়না হও, তবে ঘরে ফিরে আই সে ।” “পান পঞ্চাৎ ছাড়মু আমি তোমার লাগিয়া । ভিক্ষ মাগি খামু আমি তোমারে লইয়া ॥ আয়না যদি হইয়া থাক অামার মাথা খাও। অভাগীরে থুইয়। আর কোন দেশে না যাও। У о —