পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান Ꮌ 8ᎼᎽ বেমান দরিয়ার বামে মাঝে মাঝে চর সেই চরেতে নাইরকেল বন দেখতে মনোহর। ঝরি ঝরি পড়ে নাইরকেল মাইন্‌ষে নাহি খায় লাখে লাখে ফেলার মতন ভাসে দরিয়ায় কোন চরে ধুধু বালি নাহি কোন গাছ হাজারে বিজারে তায় কুমীর করে বাস । মস্ত মস্ত আগু পাড়ি বালু চাপা দিয়া চাহি রহে মেদ কুমীর উপরে বসিয়া আরো কিছু পশ্চিমেতে আছে এক চর বেশুমার সাপ থাকে নামে কালন্দর।” পরীদিয়া গ্রাম সম্বন্ধে বর্ণিত আছে—এককালে পরীর। এইখানে থাকিত । কালে তাহারা চলিয়া গেল— “ধাইয়া গেল যত পরী না রহিল আর মানুষের বস্তি হৈল বসিল বাজার যত জাইলা মাছ ধরে বেমান সাগরে শুকাইয়া লয় তাহ পরীদিয়ার চরে শুটুকি মাছের আড়ং হৈল ব্যবসা হইল ভারি পরীদিয়ার চরে আসে যতেক ব্যাপার।" ইহা ছাড়া ইলসাখালির এক কৃপণ বৃদ্ধের বর্ণন এবং ব্রহ্মদেশের মাফে নামক এক ধনী বণিকের ইতিহাস এরূপ জীবন্তভাবে দেওয়া হইয়াছে—যাহাভে মনে হয়, আমরা ব্ৰহ্মদেশের কোন পল্লীতে ঘুরিয়া বেড়াইতেছি । ব্রহ্ম-দেশীয় রমণীদের চিত্র এইরূপ— “মাথার চুল বাবরি ছাট এঞ্জি থাকে বুকে বোড়ার ভিতর পানের থলি ইসারাতে ডাকে