পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ᏹ☾& প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান SAASA SAASAASAASAASAASAASAAASAAA SS AASAA SAAAAA AAAASS SAA AA ASASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS আমিই নিকাস্থত্রে বিবাহ করি এবং মুরস্নেহা তোমার সহোদর ভগিনী । শরিয়ৎ মতে তোমার সঙ্গে তাহার বিবাহ হইতে পারে না।” এই সংবাদে মালেকের মাথায় যেন বজ্রাঘাত হইল। সে কাহাকে কিছু না বলিয়। সেই গৃহ ত্যাগ করিল, মালেকের জন্ত সেই রাত্রে নুরস্নেহ৷ নানারূপ রাধা-বারা করিয়া সে উৎকণ্ঠার সহিত প্রতীক্ষা করিয়৷ কাটাইল । তাহার বর্ণনায় কবি নারীর মনস্তত্ত্বের যে সূক্ষ্মজ্ঞান প্রদর্শন করিয়াছেন, তাহা প্রথম-শ্রেণীর কবির উপযুক্ত। মালেককে খুজিয়। পাওয়া গেল না । নূৱন্নেহ কাদিয়া আহার-নিদ্রা ছাড়িয় দিল । বহু দিনান্তে মালেক বাণিজ্য করিয়া অনেক ধনরত্ন অজ্জন পূৰ্ব্বক পুনরায় নুরস্নেহাদের গ্রামে আসিয়া জাহাজের নোঙ্গর লাগাইল—আর একবার নুরুন্নেছার মুখখানি দেখিতে। কিন্তু বসন্তের মহামারিতে আজগর মিঞা ও নুরস্নেহ মরিয়৷ গিয়াছে । লোকে তাহাদের কবর দেখাইয়া দিল। মালেক সেই কবরের উপর পড়িয়া রহিল, তাহার জাহাজের লোকজন আসিয়া অনেক সাধাসাধি করিল, কিন্তু সে নড়িল না । সেই রাত্রে মালেক কবরের উপর নুরস্নেহার ছায়া-মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইল, মূৰ্ত্তি যেন তাহাকে বলিল—“আমার দেহে রক্ত মাংস নাই, তবুও আমি তোমাকে ভুলিতে পারিতেছি না, তোমার জন্ত দিবানিশি আমার মন কাদিতেছে।” চোখের জলে কবরের মাটা ভিজাইয়। মালেক তথায় পড়িয়া রহিল— “ক্ষুধা তৃষ্ণা তার কিছু নাইক মালুম অনড় পড়িয়া আছে কন্‌ দিয়া গিছে ঘুম। দাড়ি-মাঝি তারে আসি করে টানাটালি । না খাইলরে দালা আর না খাইল পানি।” বড় বড় বাণিজ্য-তরি সেই পথ দিয়া যাইত—সকলে দেখিতে পাইত— “চাইয়া দেখে পাগলা মালেক চাইয়া দেখে দূরে, আর কখনো বা কবরের চারদিকে ঘুরে,