পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান Σ (Ζ (ί প্রবন্ধ পড়িয়াছিলাম। বিচিত্রা’ পত্রিকার ২য় খণ্ডের, ২য় সংখ্যায় ইহা প্রকাশিত হইয়াছিল । সুবিখ্যাত ফরাসী লেখক রোম্য রল্যা এই গীতিকাটির অতি উচ্চ প্রশংসা করিয়াছিলেন । বানিয়াচঙ্গের দেওয়ানের দু'টি শিশুপুত্র রাখিয় তাহার পত্নী পরলোকগমন করেন। সপত্নীর যড়যন্ত্রে এই দু’টি কিশোর-পুত্রকে নৌকা ডুবাইয়া মারিবার ব্যবস্থা হয়। কিন্তু আদিষ্ট ব্যক্তি করুণ করিয়! কোন প্রবাসী বণিকের হাতে তাহাদিগকে সমর্পণ করে। সেই বণিক ইহাদিগকে অতি হীন কার্য্যে নিযুক্ত করে এবং অতি খারাপ খাদ্যাদি দিতে থাকে। জ্যেষ্ঠ আলাল এই কষ্ট সহিতে না পারিয়া পলাইয়। চলিয়া ষায় । দেওয়ান সেকেন্দর অপর এক দেশ হইতে শিকার করিতে আসিয়াছিলেন, এই অপূৰ্ব্ব সুন্দর বালককে দেখিয় তিনি আকৃষ্ট হন এবং তাহাকে স্বীয় প্রাসাদে আনিয়া লালন-পালন করেন । তাহার অসামান্ত মনস্বিত, ব্যবহারের সৌজন্ত ও রূপ দেখিয় তিনি নিশ্চিতরূপে বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, ছেলেটি বড় ঘরের। কিন্তু বালক কিছুতেই পরিচয় না দেওয়াতে তিনি তাহার দুইটি কন্যার একটির সঙ্গে ইহার বিবাহ দিতে ইচ্ছুক হইয়াও অগ্রসর হইতে পারেন নাই। হতভাগ্য কনিষ্ঠ পুত্র দুলালকে বণিক এক চাষী-গৃহস্থের নিকট বিক্রয় করিয়! ফেলে । এই চাষী গৃহস্থের অবস্থ৷ এই শ্রেণীর লোকের মধ্যে বেশ ভাল ছিল । তাহার বাড়ী-ঘর, জমি-জমা ও মদিন নামী এক কন্ঠ ছিল। দুলাল ও মদিন যেন কায়ার সঙ্গে ছায়া, এই ভাবে একত্র বড় হইয় উঠে। মদিনা মুহূৰ্ত্তকালও দুলালের সঙ্গছাড়া থাকিতে পারিত না। বৃদ্ধ কৃষক তাহার সম্পত্তি দুলালকে দিয়া এবং মদিনার সঙ্গে পরিণীত করাইয়া পরলোকে গমন করে । কালে দুলালের সুরুজ নামে এক পুত্র জন্মে এবং রাজ্যচু্যত কৃষকবেশী