পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> @ じ প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান দুলাল সেই অবস্থায়ও অসুখী হয় নাই। বরং মদিনার অক্লান্ত সেবা ও ভালবাসায় সে তৃপ্ত হইয়াছিল। তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার অভাব তাহাকে মাঝে মাঝে বড়ই ব্যথিত করিত। সে তাহাকে পাইবার জষ্ঠ নানা উপায় অবলম্বন করিয়াছিল, কিন্তু খুজিয়া পায় নাই। এদিকে আলাল বড় হইয়। তাহার প্রভু সেকেন্দর বাদশাহের নিকট হইতে কিছু সৈন্ত ও বাড়ী তৈয়ার করিবার জন্ত বিস্তর লোকজন লইয়৷ পিতৃ-ভূমিতে উপস্তিত হয় । ইতিমধ্যে বৃদ্ধ-পিত। তাছাদের শোকে পীড়িত হইয় প্রাণত্যাগ করেন এবং বিধবা-পত্নী রাজ্যভার গ্রহণ করিয়া এরূপ নিষ্ঠুরভাবে প্রজ-পীড়ন করিতে থাকেন যে, তাহার একরূপ বিদ্রোহী হইতে উদ্যত হয় । এই সময় আলাল যাইয়া নিজ পরিচয় দেওয়াতে প্রজারা তাহার সঙ্গে যোগ দেয় । রাণী পলাইয়। আত্মরক্ষা করেন এবং আলাল পিতৃ-রাজ্য উদ্ধার করে, কিন্তু কনিষ্ঠ ভ্রাতার জন্ত তাহার মনে কোন সুখ ছিল না। সেকেন্দর বাদশাহ এবার আলালের পরিচয় পাইয় তাহার জ্যেষ্ঠ কন্যার সঙ্গে তাহার বিবাহের প্রস্তার করেন। আলাল বলিল —“আপনার দুই কন্ত। —যদি আমার নিখোজ-ভ্রাতার সন্ধান মিলে, তবে আমরা দুই জনে দুই কন্ত বিবাহ করিব, কিন্তু তাহাকে না পাইলে আমি বিবাহ করিব না।” আলাল ছদ্মবেশে দুলালকে খুজিতে বাহির হইল। কত বন-জঙ্গল, গ্রাম ও নগর খুজিতে খুঁজিতে একটি গ্রামের চাষাপাড়ায় উপস্থিত হইলে সেখানে দেখিতে পাইল—রাখাল বালকেরা ক্রীড়াচ্চলে দল বাধিয়া একটি ছড়া গাহিতেছে, তাহাতে আলাল-কুলালের পূৰ্ব্বকথা সকল বর্ণিত আছে। আলাল বুঝিল, তাহার সন্ধানার্থই দুলাল এই ছড়াটি রচনা করিয়া পল্লীতে পল্লীতে প্রচার করিতেছে । ছড়া রচকের খোজ লইয়া সে দুলালের বাড়ীতে গেল। দুই ভ্রাতা পরস্পরকে