পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান শব্দে বোঝাই করিয়া দেশের লোকের অনধিগম্য করিয়া তুলিয়া থাকি, তবে রাষ্ট্ৰক্ষেত্রে তাহাদের প্রতিভূ সাজিয়া মিলনের চীৎকার করা বৃথা । যাহা হউক, আমরা মূল বিষয়টির পুনশ্চ অবতারণা করিব। তারপর মদিনার এই অবস্থা কবি বর্ণনা করিয়াছেন— 4. “কঁাদিয়া কঁাদিয়৷ বিবির দুঃখে দিন যায়। খানাপিনী ছাইড়া কেবল করে হায় হায় ॥ তারপরে না চিন্তায় শেষে হইল পাগল। যাই না মুখে আসে, তাই না বলয়ে কেবল ॥ ক্ষণে হাসে ক্ষণে র্কাদে, ক্ষণে দেয় গালি। ক্ষণে গায়, ক্ষণে জোকার দেয়, ক্ষণে করভালি। খাওল-বেগর আর এই না অবস্থায় । সোলার অঙ্গ মৈলান হৈয়ে হাড়েতে মিশায় ৷ দিলে দিনে সৰ্ব্ব অঙ্গ হৈল হাড় শেষ । কালি হৈল সোনার মুখ ছেড়া তার বেশ। তারপর লা একদিন সকল চিন্ত। রৈয়া । বেহেশতের হুরী গেল বেহেশতে চলিয়া ॥ দুধের বাচ্চ। সুরুজজামাল পড়িয়া মায়ের পর। চখের জলেতে ভাসে কান্দিয়া বিস্তর। পাড়া-পড়শী মিলে সবে কবর খুড়িয়া। মাটি দিল ফতোয়া-মভন জলাজ পড়িয়া ॥” এই অভাগিনী স্বামী-গীত-প্রাণা মদিন স্বামীকে যে ভালবাসিয়াছিল তাহ ব্যর্থ হয় নাই খাট ভালবাসা কখনও ব্যর্থ হয় না। সেই বিদেহী, অশরীর প্রেমকে জল অগ্নি, সময়, বজ্র, বিদ্যুৎ কিছুতে ধ্বংস করিতে পারে না ।