পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ ፃõ প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান আনিল বিজলী খড়ম সোনার লাগিয়া। বাজার হইতে আনে সুরমা কিনিয়া ॥ ধরিয়া চিকণকাঠি মামুদ আপনার হাতে। কাজল রাঙ্গিয়া সোনার দুই নয়নের পাভে। আড়-নয়নে হাসে কন্যা অগড়-নয়নে চায়। এরে দেখ্যা মামুদ মিঞা পাগল হইয়া যায়।” মামুদের খাটি দোস্ত মোমিন তাহার এই স্ত্ৰৈণত দেখিয়া অত্যন্ত বিরক্ত হইল, সে বুঝিল—মামুদ একেবারে জাহান্নমের পথে চলিয়াছে। সে মামুদের সঙ্গে দেখা করিল। “আসিয়া মোমিন কয় দোস্ত এবান কর কি ? ভোমারে পাগল কৈরাছে ছোলেমানের ঝি।” সে তাহাকে জোর করিয়৷ বাণিজ্যে লইয়া যাইবার সব ব্যবস্থা করিল, কিন্তু মামুদ মাথার ব্যথা ও জরের ভান করিয়া শুইয়া রহিল। এক মাসকাল সে বাড়ীতে থাকিল, মোমিন চটিয়া তাহাকে বলিল—“বসিয়া খাইলে রাজার ভাণ্ডার ফুরাইয়া যায়। তোমার রেস্ত ভাই এখুনি ফুরাইয়া যাইবে।” “এমন করিয়া কেন হইলে দুনিয়ার লক্ষীছাড়া ! তোমার স্ত্রী— * . চিনিমণ্ডা নয়রে দোস্ত, পিপড়ায় খাইবে লইয়া। করপুর নহেরে দোস্ত, ষাইবে উড়িয়া ॥ ননীর পুতলা নয়রে সোনা—রৈদের আঁচে গলে। কঁাচ রঙ্গের পুতলী যে জলে যাইবে গলে । দৌলত নহেরে তোমার বিবি—লোকে করব চুরি। ঘরে ঘরে এইমত কত আছে নারী।