পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান २ ०6 ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাহিনীগুলি প্রায়ই পয়ারে লিখিত হয়। এরোপ্লেন, মটর, প্রভৃতি আধুনিক সময়ের বৈজ্ঞানিক-যন্ত্রাদি হইতে, রাজ থিবোর সিংহাসন-চুতি, কামাল পাশার বিজয়বাৰ্ত্ত, চট্টগ্রাম-জেলেদের কবিতা, ভূমিকম্প, চাষার ক্ষেত-নিড়ানের কবিতা, রেঙ্গুনের কবিতা, আমু-কালু, গুনাগার, গরুর দুঃখ, ভেড়াইর মা, মুশিদের বার মাস, বার জিলার রঙ্গিন কবিতা, তুফানের কবিতা প্রভৃতি শত শত বিষয়ের কবিতা আমার নিকট আছে, এগুলি সাময়িক স্থানীয় ঘটনার স্থচি—“যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়। দেখ তাই”—প্রবাদ অনুসারে সময়ে সময়ে এই ক্ষুদ্র পুস্তকগুলির মধ্যে কিছু কিছু সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের উপাদান পাওয়া যাইতে পারে। আমরা যাহাদিগকে চাষা বলিয়া ঘুণা করি, তাহার আমাদের জাতির গৌরব, আমি তাহ প্রমাণ করিয়া দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছি। তাহাদের রচিত গাথা-সাহিত্য পূৰ্ব্ববঙ্গ ছাইয়া আছে, সেগুলি লোপ পাওয়ার মধ্যে—আমরা বড় বড় বাড়ী তৈরী করিয়া পড়া-শুন৷ করিয়া বিদেশী ভাষা প্রভৃতিতে প্রাজ্ঞ হইতেছি, অথচ দেশী সম্বন্ধে আমাদের ঐরাবৎ অজ্ঞতা উপহাসের বিষয়—কি একান্ত করুণ অশ্রুপাতের বিষয় তাহা বলিতে পারি না। এই সকল কবিত্ব-শূন্ত পয়ারে রচিত সংবাদিক গুলিও আবর্জনার ঝুড়িতে ফেলিবার যোগ্য নহে, তাহারা প্রমাণ করিতেছে যে, আমাদের অজ্ঞ-জনসাধারণের জানিবার আকাজক্ষা অল্প নহে, শিক্ষিতের যখন অবজ্ঞা করিয়া তাহাদিগকে শিখাইবেন না, তখন তাহার নিজেদের সাধ্যানুসারে, আল্ল-বিদ্যার জোরে যে অবিরত চেষ্ট করিতেছে, তাহা উপহাস করা আমাদের পক্ষে ঘোর অষ্ঠায় হইবে। সন্ন্যাসীদের নেংটর গেরোতে যেমন মাঝে মাঝে ছল্লভ গাছের মূল ও ঔষধ গচ্ছিত থাকে, তাহ মৃত-সঞ্জিবনী ক্ষমতা রাখে, এই অৰ্দ্ধ-উলঙ্গ অসন-বসনহীন কৃষকদের কৌপিনের গেরে অনুসন্ধান করিলে হয়ত