পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८छ् उपङ्ग6] क६ों कe 88) ২২২৬ ফুট, ১৫• ফুট আর উঠতে হয়তো বাকী, সবটুকুই উঠেচি তা ছাড়া। সামনে ৯ • ফুট খাড়া নীচু উৎরাই সরল রেখায় নেমে গিয়েচে । আমাদের সামণে ১৬৫৬ ফুট উচু একট। পাহাড়ের মাথা—আমাদের নীচে একটু ডানদিকে ঘেষে। সামনের উপত্যৰাভূমি নিবিড় সবুজ, মেবলোমের মত বৃক্ষশীর্বে ভৰ্ত্তি । তার ওপারে স্তরে স্তরে উঠচে শৈলশ্রেণীর পেছনে শৈলশ্রেণী, সমুত্রের তরঙ্গমালার মত। আমাদের এই Vantage point-fট একটি খাজে অবস্থিত, দুদিকে চলে গিয়েচে বনাবৃত দুই শৈলবাহু বহুদূর পর্যন্ত । বঁদিকের বাহুতে অনাবৃত পাথর বেরিয়ে আছে বহু স্থানে, একটা বটগাছ হয়েচে, আরও অনেক বড় বড় গাছ থাকে থাকে নেমে হঠাৎ যেন শূন্তে ঝুলচে। ঐ একটা শিববৃক্ষ আমাদের কত নীচে ডান দিকে, ঐ মনোহরপুর টাউনের অস্পষ্ট সাদা সাদা বাড়ীগুলি দেশলাইয়ের বাক্সের মত দেখাচ্ছে, কোলবোংগার পাহাড়টা সমতলভূমির সঙ্গে মিলে সমান হয়ে গিয়েচে এতদূর থেকে। বনভূমি নিনাদিত হচ্ছে ময়ূরের কেকারবে, নিম্নের উপত্যকার জঙ্গলে । এই নির্জন গহনারণ্যে ময়ূরের কেকারব, ওপরে দ্ধিপ্রহরের নীলাকাশ, বহু বহু নিয়ে সংকীর্ণ উপত্যকায় পাৰ্ব্বত্য ঝর্ণ লুবড়া নালার কালে খাত—আমাদের আশেপাশে বিশাল বনস্পতিশ্রেণী, আমলকী গাছ, বঁtশঝাড়, পাহাড়ের অনাবৃত প্রস্তরময় অংশ, চীহড় লতা, রামদাতনের কাটা লতা, শূন্যে ঝোলা একটি কি গাছ আমাদের সামনে—এক ধরনের লজ্জাবতী ফুলের মত বনফুল—পববতসাচুতে, যেন এক বিরাট চিত্রকরের বিরাট ছবি। কি অপূৰ্ব্ব দৃপ্ত চোখের সামনে মুক্ত হল! না দেখলে এ দণ্ডের বিরাট মহনীয়ত, গাম্ভীৰ্য্য, ভয়, বিস্ময়, সৌন্দর্ঘ্য কিছুই বোঝানো যাবে না। আমাদের কত নীচে বঁাশবনে পাখী উড়ছে একদল । ন’মাইল এ স্থান মনোহরপুর থেকে। তারপর অতি কষ্টে বহু দুর্গম কাটাবন ভেঙে আবার মোটরের কাছে পৌঁছলাম। পথপ্রদর্শক না থাকলে অসম্ভব নামা পুনরায় পথে। ফরেস্ট রেনজাই পথ হারিয়ে গেল । আমরা অন্যদলে অন্যপথে ভুলে চলে গেলুম । নামচি, নামচি–রাস্ত আর আসে না। তেমনি রামদাতনের কাটালত সৰ্ব্ব ঐ–পা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেল কাটায় । এই স্থানে কখনো কেউ আসেনি আমি বলতে পারি। মিঃ সিনহা এ পথে এসেছিলেন ১৯২৫ সালে নভেম্বর মাসে—ঠিক এমনি সময় কোলবোংগা থেকে সাইকেলে। যতই অগ্রসর হই বোংগায় দিকে, সেই ঘোর জঙ্গলের মূৰ্ত্তি দেখে মনে হয় এ দেখচি ট্রপিক্যাল ফরেস্ট । এই পথে একটি তরুণ যুবক একা কি ভাবে এসেছিল তাই ভাবি। তিনি তখন নববিবাহিত, পথের চেহারা দেখে ভয়ে উইল করতে চাইলেন, এক এক স্থানে এমন জঙ্গল যে চারিধার থেকে চেপে ধরচে ঘোর জঙ্গলে । বর্ণার জল খেতে খেতে অগ্রসর হয়ে এই পোংগায় এসে পৌঁছোন। একদিকে একটা ঝর্ণা, বড় বড় পাখর-— অবশেষে আমরা পৌঁছে গেলুম একটা খোলা জায়গায়। স্বরগুজার ক্ষেতে ফুল ফুটে আছে দেখে মনে হোল লোকের বাস দেখচি রয়েচে এখানে । এইখানে B.T. T. কোম্পানীর করাতের কারখানা ছিল আগে । জায়গাটার নাম হোল পোংগা । এই ব্রিটিশ কোম্পানী কিছুমের এ অঞ্চলের বনভূমির যাবতীয় কাঠ কেটে চালান দিচ্চে আজ চল্লিশপঞ্চাশ বছর