পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8$९ বিভূতি-রচনাবলী —কত অাছে ? —ছু টাকা । গুনতে জানিস না ? —নেই জানি । এত গরীব কিন্তু এত সরল ! ধলভূমের দৃপ্ত যে এত wild ও এত ভালো তা আগে জানতুম না । ভগবানকে ধষ্ঠৰাঙ্গ যে তিনি দেখবার স্বযোগ দিয়েচেন । রাত্রি দশটা ৷ ডায়েরী লিখতে লিখতে তাবুর বাইরে এসে দেখি কৃষ্ণ তৃতীয়ার ভাঙা চাদ অনেকটা উঠে গিয়েচে আকাশে—পেছনের পর্বতসাতুর দোকা, শালগা ও পাষড়া গাছগুলো ঈষৎ অস্পষ্ট জ্যোৎস্নায় কি স্বন্দর দেখাচ্চে—মায়াময়, অপরূপ। এই সরু সংকীর্ণ উপত্যকার সবট চাদের আলোতে আলো হয়ে উঠেচে । কতক্ষণ যে দাড়িয়ে রইলুম বাইরে, কখনও চাই তারা-ভরা আকাশের দিকে, কখনও চাই জ্যোৎস্নাহ্মাত দোকা ও শালগা গাছ গুলির দিকে । & আজ সকালে চ খেয়ে স্নান করে তাবুর সামনে পাহাড়টিতে উঠে সেই শিলাখণ্ডে বললুম –এখুনি আজ চলে যাচ্ছি এই স্বন্দর বনভূমি ছেড়ে। আবার কবে আসবো কে জানে ? একটু রোদ উঠেচে, এ পাহাড়ের মাথায় সব শুকনো গাছ, শিউলি বন শুকনো, দোকা গাছগুলো শুকনো শিউলি কি আমড়া গাছের মত, শুকনো বনতুলসীর জঙ্গল, নিম্পত্র শিববৃক্ষ, নিম্পত্র গাছে হলুদরঙের গোলগোল ফুল ফুটে আছে, কালো পাথরের ফঁাকে ফঁাকে শুকনে খড় বন । কি একটা শুকনো কাটা গাছ অজস্র—সব শুকনো গাছ এখানে, ভারি চমৎকার লাগে কালে পাথরের ওপর নিম্পত্র শুকনো গাছের বন । ভগবানের আশ্চর্ষ্য শিল্প কি স্বন্দর ভাবে এখানে ফুটেচে ! বেলা এগারোটাতে মোটর ছেড়ে প্রথমে পৌঁছলাম মহাদেব শাল । বননিকুঞ্জের অন্তরালে পাপিয়া ও কত কি বনপাখীর কলকাকলি । বহুকালের পুরোনো পাথরের কালী প্রতিমা । একটা খড়ের চালাঘরে শিবলিঙ্গ পোতা আছে—গর্তের মধ্যে মাথাটুকু মাত্র দেখা যায়। বড় একটা বট গাছ, অনেক আসান ও পলাশ গাছ, কোথা থেকে আম্রমুকুলের সৌরভ তেলে আসছে, প্রাচীন দিনের মুনি-ঋষিদের তপোবন যেন। মেঘমেদুর প্রভাতের স্নিগ্ধ আকাশের তলে কি মনোরম ছবিই এর রচনা করেছে! মনে হোল আরও অনেকক্ষণ বসে থাকি এখানে— কিন্তু সময় ছিল না । মহাদেৰ শাল থেকে বার হয়েই দেখি বারোজ লাহেব ওর মোটরে ফিরচে । আমাদের দেখে নামলে । ও বঙ্গে, মহাদেব শাল খুব পুরোনো স্থান, বারোজ এ অঞ্চলের অনেক সংবাদ রাখে। ওকে বিদায় দিয়ে আমরা আবার গাড়ীতে উঠলুম,-কোয়ালি গ্রামে সেদিনকার সেই বাড়ীটা দেখলুম, সেদিন যেখানে বলে মুড়ি খেয়েছিলুম। হলুদপুকুর পার DS BBBB BBBS BBB BBBB BBB BB BB BBBS BBBBB BBB