পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՅՊe বিভূতি-রচনাবলী জাজ খুব ভোরে কল্যাণী ও জামি বৃষ্টির মধ্যে মাঠে বেড়াতে গিয়েছিলুম। শ্রাবণ মাসের ঘন বর্ষার প্রাতঃকাল, সে কি শোভা হয়েচেউত্তর মাঠে, কি কালোকালে মেঘ বড় শিমূল গাছটার মাথায়, মঠ ভরে গিয়েছে বৃষ্টির জলে, মাঠের ধারের ঝোপে ঝোপে নাক-জোয়াল ফুল (gladfolus lily ) ফুটে আলো করে আছে। এই বর্ষ ভেজা হাওয়ায় মুক্তির স্বপ্নলোকে মন উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ফেলে•••খে মুক্তি মেলে এমনি মেঘকজ্জল শ্রাবণদিনে টুপটাপ জল-ঝরা ছাতিম বনে, নটকান ফুলের বনে, পাপিয়ার ডাকে, দোয়েলের ডাকে। (আজ ভোরে যখন শুয়ে আছি বিছানায়, কি চমৎকার পাপিয়া ডাকছিল! ) সেই বৃষ্টির একহাটু জলে আকাশ-ভরা কালে মেঘের তলে দাড়িয়ে মনে হোল ঋষিদের সেই পবিত্র গাথ! — স্বজিয়া বিশ্ব করিয়া পালন প্রলয়ে নাশেন যিনি শোভন বুদ্ধি আমা সবাকার প্রদান করুন তিনি। ছুটির দিনটা । সারাদিন বৃষ্টি হয়নি। হাজরী জেলেনী সকালে টাটকা রিটে মাছ দিয়ে গেল গাঙের । এখন ঘোলা জলে অনেক স্থাছ পাওয়া যায়, তার মধ্যে বেলে মাছ আর চিংড়িই বেশি। রিটে মাছ খুব তেলালো স্বস্বাদু মাছ, ইছামতী ছাড়া অন্ত কোন নদীতে বড় একটা পাওয়া যায় না। দেড় টাকা সের। যুদ্ধের আগে যে মাছ ছিল পাচ আনা সের, এখন তাই দেড় টাকায় পাওয়া ভার । কল্যাণী কাচা মাছ তেলঝোল করে বড় চমৎকার। আজও তাই করলে, আর টেড়ল ভাতে। সাড়ে বারোটার সময়ে কল্যাণী ও আমি নদীতে স্নান করতে নামলাম। কি স্বন্দর মাকাললতার ঝোপটা জলের ধারে। নাটার্কাটার একটা স্বগন্ধি ফুল তুলে কল্যাণীর হাতে দিলুম, ও খোপায় গুজলে। বিকেলে হাবু ও ফুচুকে নিয়ে অপূর্ব রঙীন আকাশের তলায় বাওড়ের ধারের বট অশখ গাছের ছায়ায় ছায়ায় চলে গেলুম মরগাঙে। অনেকদিন এদিকে আসেনি। পথে পথে সবুজ ঝোপঝাপের কি ভরপুর সৌন্দর্ঘ্য । বাওড়ে জল বেড়েচে অনেক, ডাঙার কাছে জলি ধানের ক্ষেতে বকের দল চরচে, ওপারের অস্তদিগন্তের পটভূমিতে পাটক্ষেতে চাষার পাট কাটচে, কোথাও কোথাও জলিধান কাটচে, মাড়ল-গাজিপুরের কাওরারা শুওরের পাল চরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্চে বঁওড়ের কায়ায় কাদায় (কা-তীর), শুওরের পাল মাটি খুঁড়ে মুখে ঘাস তুলে খাচ্চে, টাটকা মুখে ঘাসের শেকড়ের স্বগন্ধ বেরুচ্চে । মরগাঙের ধারে গিয়ে দেখি ফণিকাক ইন্দু রায় মাছ ধরে ফিরচে। আমরা ৰাম, কি পেলে ? ওরা উড়ি দেখালে। কিছুই পায়নি। কাঠের বড় কষ্ট হয়েচে, আমি এক বোঝা শুকনে কাঠ কুড়িয়ে কুড়িয়ে জড়ো করলাম। শুকনে বটের ডাল, ষাড়ার ভাল, তিক্তিরাজের ভাল। কুঠীর মাঠের পথে এসে নিবারণের বেগুনক্ষেতের নীচে নদীতে স্নান করতে নামলুম। মাধবপুরের চরের ওপর আকাশের কি অদ্ভূত ইজনীল রং। তারই পটভূমিতে বড় একটা শিমূল भाइ, कॉभवन, भाॐ शोहनद्र cकङ भांबोझ aथायक । नशैणरण cनहे चङ्कङ नैौण ब्रभूत्वज्ञ ॐांठिछकृब्रिां ।