পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፀዋህም বিভূতি-রচনাবলী ভাগ দেবে বলেই ডেকেছিলাম, মনে আছে বেনোয়ারী উড়ন্ত মেঘপুঞ্জের দিকে খানিকটা চেয়ে থেকে জামায় দিকে তাকিয়ে দাত বের করে বল্পে—ষ্ঠা, বাবুজি, আচ্ছ হ্যায়। এই মাত্র সংক্ষিপ্ত comment করে সে এই বাতুল বাংগালী বাবুর পাশ কাটিয়ে কাছারি ঘরে খতিয়ান লিখতে ঢুকলো । আজ কেশ ওই মেঘপুঞ্জের দিকে চেয়ে আমার চোখে জল এল তা কে বলবে? ভগবানের কথা মনে করেই চোখে জল এল কি ? তার অসীম দয়ার কথা স্মরণ করেই কি ? হয়তো হবে••• কিন্তু এ সম্পূর্ণ অকারণ। আমি কি জানি নে এমন ঘর, উষর মরুভূমির দেশের কথা যেখানে মাসের পর মাস কেটে যায় ১২০৫৷১২৫° ডিগ্রী উত্তাপের মধ্যে, যেখানে একবিন্দু বারিপাতের স্থদুর সম্ভাবনাও থাকে না । তৰু ভগবানের দান, ভগবানের দান। সৰ্ব্ব অবস্থায়, সৰ্ব্ব কালে, সৰ্ব্ব দেশে তার অসীম করুণার দানকে যেন মাখা পেতে নিতে পারি। প্রাকৃতিক কারণে মেঘ সঞ্চিত হয়েচে আকাশে, উড়ে আসচে উদ্ধস্তরের বায়ুস্রোডে–এর মধ্যে ভগৱানের দান’ কি আবার রে বাপু ? যতো সব সেণ্টিমেন্টাল ন্যাকামি। so হে অনন্ত, হে অসীম, হে দয়াল তোমার বহু দূত, বিশ্বের সব দেশে কত চর—সব কিছুর পেছনে তোমার প্রকাশ, তোমার মহান অভু্যদয়—এ সত্যকে যেন না ভুলি । সব রকম দানকে যেন তোমার হাতের অমৃত পরিবেশন বলে মেনে নিতে পারি। আজ সকালে উঠলাম। মনে খুব আনন্দ । হয়তো বা শরতের রোদ ফুটবে খুব। পটুপটিতলার সায়েরে গেলুম নদীর ধারে, পূৰ্ব্বদিকে সামান্ত কিছু মেঘ, আকাশ মোটামুটি বেশ পরিষ্কার । ওপাড়ার ঘাটে মুখ ধুয়ে ওপারের শোভা দেখি একমনে। সেই সাইবাবলা গাছ থেকে মটরলত। দুলচে, সেই সাদা ফুলে ভরা লতায় কিছু কিছু ফুল এখনও দেখা যাচ্চে। একটা নৌকো এসে লেগেচে–ছইওয়াল নৌকো । বল্লাম—কোথাকার নৌকো গো ? —আজ্ঞে বাৰু, বাজিতপুরের। -সে কোথায় ? —মাজদের সন্নিকটে । —কি কিনবে ? --কাপড় কিনতে এলেচি গোপালনগরের বাজারে । —কবে সেখানে গিয়ে পৌছোৰে ? —আজি বেলা বারোটায় ছাড়লে কাল সন্দের সময় নৌকে আমাদের ঘাটে লাগবে । বাড়ী আসতেই বৃষ্টি নামলে । সে কি কম্ৰমু বৃষ্টি ! দুটি ঘণ্টা ধরে একঘেয়ে অবিরাম ভন্ন বৃষ্টি ! ভিন্ন মানে অবিরাম মুষলধারে বৃষ্টি। হৱিবোলার ছেলে নীলু এল একটা পাকা