পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবযান >&> তোমার ! ওদের দিকে ফিরে বল্লেন—চলো । কন্যা এখনও অচেতন ? এই নক্ষত্রের অগ্নিমণ্ডল ছাড়িয়ে গেলেই জ্ঞান ফিরে পাবে। 朝 যতীন সম্প্রদ্ধ বিস্ময়ে চেয়ে ছিল দেবতার সেই ধ্যানপ্রশাস্ত গম্ভীর রূপের দিকে । অদ্ভূত এ মূর্তি। সাক্ষাৎ সবিতৃমণ্ডল-মধ্যবর্তী জ্যোতির্ময় নারায়ণ যেন তার সম্মুখে । সে মুখে অনায়াস করুণা ও গভীর মৈত্রীর চিহ্ন, ব্রহ্মাণ্ডের জরামরণচক্রে বদ্ধ জীবকুলকে যেন অভয় দান করচে । কে বলেছিল একে নাস্তিক ? দেবতা বল্লেন-জানো, প্রত্যেক গ্রহ বা নক্ষত্র, প্রত্যেক জড় বা বাষ্পপিণ্ড যা আকাশে ছড়ানো আছে—তোমাদের স্বর্য নামক সেই ক্ষুদ্র নক্ষত্রও এর মধ্যে-প্রত্যেকটি এক এক চুম্বক । এরা পরস্পর পরস্পরকে আকর্ষণ করচে। সমস্ত বোম বোপে এই বিরাট চৌম্বক ক্ষেত্রে— কোনো জড়দেহধারী জীবের সাধ্য নেই এই বিশাল চৌম্বকক্ষেত্রের আকর্ষণশক্তিকে জয় করে স্বেচ্ছায় অগ্রসর হয় । • যতীন বল্লে—দেব, আমাদের স্বর্যও বড় চুম্বক ? পৃথিবাও ? —তোমাদের পৃথিবীও । সূর্য তো বটেই। প্রত্যেক নক্ষত্ৰও । কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ওরা বহুদূর চলে এল নক্ষত্রটা থেকে—ওদের মাথার ওপরে বহুদূরে সেটি একটি বিশাল বহিগোলকৈর মত জলচে তখনও । হঠাৎ যতীনের মনে পড়লো সেই পূর্বের কথাটি । সে বল্লে—দেব, আপনি তখন বলেছিলেন ওই সব মেঘের মত দেখা যাচ্চে যা, ওগুলো আপনার কাছেও অদৃপ্ত জীবলোক ? দেবতা বলেন–জীবলোক বলিনি--স্থলদেহধারী জাব নেই ওতে। আত্মিকলোক বলেচি। পুষ্পের এবার জ্ঞান হয়েচে । সে বিস্ময়ের সঙ্গে ওদের দিকে চেয়ে চোখ খুলে বল্পে—এ কোথায় চলেচি ? যতীন হেসে বল্লে—তার চেয়ে কোথা থেকে আসচি বল্পে প্রশ্নটা স্ব হোতো । আমরা আসচি ৰহুদুরের নক্ষত্ৰলোক দেখে। —আমি কোথায় ছিলাম ? —অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলে । পুষ্পের এবার জ্ঞান সম্পূর্ণ ফিরে এল, স্কে বল্লে—মনে পড়েচে এবার । দূর থেকে যা দেখেচি, তাই যথেষ্ট । উনি দেবতা–তা বলে আমরা সামান্ত মাষ্টধ-ও সহ করতে পারা কি— |- er যতীন প্রতিবাদ করে বল্লে---আমরা এখনও সামান্য মানুষ ? এতকাল স্থূলদেহ ছেড়ে এসে এখনও সামান্য মান্থব ? পথিক দেবতা হেসে বল্পেন—তোমার পূর্ব প্রশ্নের উত্তর আর এ প্রশ্নের উত্তর একসঙ্গেই দিচ্চি শোনো । ওই যে সব মেঘের মত দেখা যাচ্চে বছদূরে, ওগুলো বন্ধ উচ্চ স্তরের আত্মিক