পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবযান ›ፃፃ হয়েচে, ভগবান তাকেই কৃপা করেচেন। দৃষ্টি উদার ও স্বচ্ছ না হোলে কেউই উচ্চ অবস্থা প্রাপ্ত হয় না, অথচ মাহুষকে দেবত্বে নিয়ে যাবার জন্যে উধ্বলোকে কত ব্যবস্থা, কত আগ্রহ . তবুও কেন অন্ধৰ ঘোচে না মাহুষের, কেন রামলালের মত আশা-বৌদিদির মত জীবেরা ভূবলোকের অতি স্থল আসক্তির বন্ধনে দেবত্বের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত আছে ? বুড়োশিবতলার ঘাটে যতীন এক চুপ করে বসে ছিল । পুপকে দেখে খুব খুশি হোল । বল্লে—যত দেখছি, আমিও অবাক হয়ে যাচ্চি, পুপ। আমার চোখ খুলে যাচ্চে । তুই কিছু ভাবিসনে, পৃথিবীতে জন্ম নেবো কত বছরের জন্যে ? বাট সত্তর কি আশি ? অনস্ত জীবনের তুলনায় ক’দিন ? কিসের জন্ত মৃত্যু ? সব ছায়া, মায়া—একমাত্র আমি অমর, অনন্ত, শাশ্বত । আমাকে কেউ কোনদিন ধ্বংস করতে পারবে না । আজকাল তোর সংসর্গে থেকে আমার চোখ খুলে গিয়েচে । পুষ্প ওকে রামলালের কথা বল্পে । যতীন সব শুনে হাসতে লাগলো। আজকাল এই শ্রেণীর লোকের জন্যে তার গভীর অনুকম্প জাগে । পথ দেখিয়ে দেবার কেউ নেই তাই এমনি হয়েচে–ওদের দোষ নেই। পুষ্প বল্লে—তুমি ওর জন্যে কিছু করে । আমি সেখানে যাবো না, গেলেও তার উপকার হবে না । এক মোহ থেকে আর এক মোহে পড়ে যাবে--- —তোর সাহায্য ছাড়া হবে না পুষ্প, আমি অবিপ্তি গিয়ে দেখচি । যতীন রামলালকে খুজে বার করলে। সে একটি নীচজাতীয়া মেয়ের বাড়ীর উঠানে বসেছিল । মেয়েটি চেকিতে পাড় দিয়ে ধান ভানচে । তার বয়স ত্রিশ-বত্ৰিশের কম নয়, কালো ও অত্যস্ত কৃশকায় । সম্ভবত মাঝে মাঝে ম্যালেরিয়াতে ভোগে । মুখখানা নিতান্ত মন্দ নয়, চোখ দুটো বড় বড়—সমস্ত দেহের মধ্যে চোখ দুটোই ভালো । রামলাল ৰতীনকে দেখে বল্লে—যতীনা যে ! তোমাকে কে সন্ধান দিলে হে ? বুড়োটা নিশ্চয়ই। বেঁচে থাকতে জালিয়েচে আবার মরেও যে একটু ফুতি করবো তার যে নেই। হাড় ভাজা ভাজা করলে। সেদিন এসেছিল, আমি হাকিয়ে দিয়েচি। বল্লাম—আমি যা ইচ্ছে করবে, তোমার বিষয়ের ভাগ তো পিত্যেশ করিনে যে তোমায় ভয় করবো। . এখন আমি স্বাধীন। যতীন হেসে বল্লে-বুড়োর দোষ নেই। সে তোমার ভালোর জন্তেই সন্ধান দিয়েছে। এই ভাবে বঁাশগাছে তেঁতুলগাছে কতদিন কাটাবে ? —দিব্যি আছি। দোহাই তোমার, তুমি আর লেকচার বেড়ো না । _ —কিন্তু এতে তোমার লাভটা কি ? কেন এর পেছনে পেছনে ঘুরচো— —আমার দেখেই স্থখ । ওর নাম সোনামণি । লোনামণি ধান ভানে, আমি ঐ খুটির পাশে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখি ; আমতলার পুকুরঘাটে নাইতে যায় এক একা—জুমি সঙ্গে খাই, যতক্ষণ না নাওয়া হয়, আমি নোনাগাছে বসে বসে দেখি । রাত্রে ও র"াধে-অামি রান্নাঘরের কোণে চুপ করে বলে থাকি। বেশ চমৎকার দেখতে সোনা, অম্বন চেহারা ভদ্রলোকের ঘরে दि. ब्र. tr->२ இ