উপলখও 8సి —না, আমি পারি যেতে । —থেকে না । চলে যাও । বামুন দিদি বকবে । নক্ষি ছেলে—যাও মানিক— —আর একটু খেলা করব ? ሰ —না । একা বনের ধারে তোমার কি খেলা বাবা ? বড় শেয়াল বেরোয় এখানে । —বড় শেয়াল তো দেখিনি—সব ছোট শেয়াল । —ভা নাগো থোকা । বড় শেয়াল হল সেই যার নাম করতে নেই সন্ধ্যেলেলা । – বাঘ ? —নাম করে না, নাম করে না, দুষ্ট ছেলে । এই রকম টুকরো কথা হয়তো হয়েছিল কোন এক বিকেলে । দু-চারদিন হয়তো–তার ৰেশি নয় । প্রায়ই তাকে দেখতাম, ঘড়া-কাখে নদীর ঘাটে যেত এমনই বিকেলে । সে কেন, বোষ্টম. পাড়ার জেলেপাড়ার কত বৌ-ঝি যেত । এই পর্যন্ত তার সঙ্গে আমার সম্বন্ধ । ওর সঙ্গে আমার যোগাযোগ নিতান্তই সামান্য । ভুবন বোষ্ট্রমীর ইতিহাস যতদূর আমার জানা আছে বা পুরে বড় হয়ে শুনেছিলাম, তার মধ্যে অসাধারণত্ব কিছু ছিল না । সে ছিল গোপীনাথ বৈরাগীর বিবাহিতা স্ত্রী । গোপাল পরামানিকের বাড়ীর পেছনে ওদের দুখান মেটে ঘর ছিল । চাষবাস জমিজমার সামান্ত আয়ে সচ্ছল ভাবেই সংসার চলত—নিঃসন্তান স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলাবিহীন সংসার । ভুবনের মুখখানা fছল সুন্দর, কারণ ওর মুখ আমি মনের চোখে স্পষ্ট দেখতে পাই । তবে ভয়ানক রকমের সুন্দর কিছু নয়, পাড়াগায়ের মধ্যে পাচপ্যাচ ধরনের চেয়ে একটু ভাল । ভুবন বোষ্ট্রমীর সম্বন্ধে আর একটা কথা মনে আছে, কেউ তার চরিত্র সম্বন্ধে কোন অপবাদ দেয়নি। অথচ ও-পাড়ার অধিকাংশ কি-বোঁ সম্বন্ধে সেই ছেলেবেলাতেই কত কানাযুষে আমার কানে গিয়েছিল। পাড়াগা জায়গা, পরের এতটুকু ছিদ্রও চোখ এড়ায় না সেখানে। এর কারণ অবিশুি এ নয় যে পাড়াগায়ের সব লোকই হিংস্থক বা নিন্দুক । এর বড় কারণ এই যে, এই সব পল্লীগ্রামে লোকের আমোদ-কৌতুকের কোনও বড় পথ নেই—যেমন আছে শহরে, ফুটবল খেলা বা সিনেমা বা রাজনীতি আলোচনার মধ্যে। কি নিয়ে এরা সময় কাটায় । , এর-ওর ঘরের মুখরোচক কুৎসা-নিন্দ না নিয়ে থাকলে অবসর-বিনোদনের অন্ত পন্থা কই ? স্বতরাং দোষ এদের দেওয়া যায় না সেজন্যে । } এ হেন গ্রাম্য আলোচনার মজলিসেও ভুবন বোষ্টমীর নামে কোন অপবাদ শুনিনি । বরং সকলে বলত ভুবন খুব ভাল মেয়ে । শাস্ত স্বত্র স্নেহময়ী। এই পর্যন্ত, এর বেশি আর কিছু ওর সম্বন্ধে বলবার আছে বলে আমার মনে হয় না । অতি সাধারণ গ্রাম্য-বধুদের একজন ৷ ভুবন বোষ্ট্রমী সম্বন্ধে আর কিছু বলবার নেই আমার । অথচ কূেন এতকাল পরে এখানে দাড়িয়ে তাকেই আমার প্রথম মনে হল ? এই পথের সঙ্গে, বনফুলের গন্ধের པཱུ་ ফাঙ্কন f.番。レー〉"
