পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মংৱাদ পত্রে মেনকালেৰ কথা سو نه ج { ২৯ সেপ্টেম্বর ১৮২৭ । ১৪ আশ্বিন ১২৩৪ ) ওলাউঠার ঘট -পরম্পর অবগত হইয়া প্রকাশ করিতেছি যে সংপ্রতি শহর হুগলির সামিল চুচড়া ও কেকসিয়ালিপ্রভৃতি কএক গ্রামে ওলাউঠা রোগ অতিপ্রবল হইয়া বসিয়া তত্রস্থ অনেক লোককে সংহার করিয়াছেন এবং অদ্যাপিও ঐ রোগে প্রতি দিন দশ বার জন শমনসদনে গমন করিতেছে তাহাকে নিবারণ করে এমত কাহার ক্ষমতা হয় না ইহা দেখিয়া ভয়ে ভীত হইয়া বিদেশী যে সকল লোক ঐ সকল গ্রামে বাস করিতেছিল তাহারা পলায়নপর হইয়াছে এতাবন্মাত্র শুনা গিয়াছে । তিং নাং ( ২২ ডিসেম্বর ১৮২৭ । ৮ পৌষ ১২৩৪ ) ওলাউঠ রোগ।—শুনা গেল যে উলাগ্রামে প্রাণনাশক গুণধাম ওলাউঠা সংপ্রতি তথায় অবস্থিতি করিয়া অনেককে কাতর করিয়াছেন তাহাকে কাতর করিবার নিমিত্তে কবিরাজসকলে সন্ধান করিতেছেন কিন্তু সে সন্ধান বলবান না হইবাতে ঐ ওলাউঠা ঐ চিকিৎসকদিগকে ঠাট্টা করিতেছে আর যাহার নিকটে ঐ রোগরাজ বিরাজ করিতেছেন তাহাকে তৎক্ষণাৎ সন্নিপাত সঙ্গে দিয়া ধৰ্ম্মরাজের নিকটে পাঠাইতেছেন । গং চং ( ১৬ জুন ১৮২১ । ৪ আষাঢ় ১২২৮ ) জর ।—মোকাম কলিকাতায় সাহেব লোকেরদের মধ্যে আতিশয় জর হইতেছে তাহাতে এক দিন দুই দিনের জরে অনেকে মরিয়াছেন গত রবিবারে দশ জন সাহেবের কবর হইয়াছে। ( ৭ আগষ্ট ১৮২৪ ৷ ২৪ শ্রাবণ ১২৩১ ) জরাগমন ।—শহর কলিকাতায় জররাজ রাজ্য করিবার বাসনায় সমাগমন করিয়াছেন কিন্তু তাহার সমভিব্যাহারে অধিক সৈন্য নাই কেবল প্রবল এক সৈন্য আছে সে শরীরমধ্যে প্রবেশ করিয়া স্বীয় ক্ষমতাতে অস্থি চুর্ণ করে তাহাতেই জররাজ অতিসন্তুষ্ট আছেন অন্যান্য সৈন্তেরদিগকে আহবান করেন না। এ জররাজ অতিদয়াশীল যেহেতুক প্রজারদিগের প্রাণরূপ করগ্রহণে ক্ষান্ত আছেন ইহার আগমনের তাৎপৰ্য্য এই বুঝা যাইতেছে যে পূর্বে ওলাউঠা রোগরাজ এই রাজধানীতে স্বীয় সৈন্ত সন্নিপাতাদি সঙ্গে লইয়া আসিয়াছিলেন এবং রাজ্যও বিলক্ষণরূপে করিয়াছিলেন কিন্তু তাহার প্রবল প্রতাপে ভীত হইয়া অনেক প্রজা জীবনরূপ রাজস্ব দিয়াছে তাঁহাতে র্তাহার নির্দয়ত প্রকাশ হইয়াছিল। এক্ষণে কালবলে তিনি কালপ্রাপ্ত হইয়াছেন অতএব জররাজ বিরাজমান হইয়া স্বীয় শীলতা প্রচারে রাজ্য করিতে আসিয়াছেন ইহার সংপ্রতি কিছু দিন স্থিতি হুইবে তাহার কারণ এই যে এ নগরে অনেক দেশীয় অনেকের বসতি আছে সকলে এক্ষণপৰ্য্যস্ত র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে পারেন নাই ক্রমে২ সাক্ষাৎ করিতেছেন এবং করিবেন।