পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sఫెరి সংবাদ পত্রে চেনকালেৰ কথা বিচার না করিয়া কখন কোন আজ্ঞা দিবেন না এক্ষণে যে সকল কথা উঠিয়াছে সে গোলযোগমাত্র । যথার্থ কথা ত্বরায় প্রকাশ পাইতে পারিবেক তাহা হইলেই এতদ্বিষয়ের দ্বেষি মহাশয়েরদিগের আস্ফালন ও তর্জনগর্জনের বিসর্জন হইবেক । অপর প্রায় সকল ইঙ্গরেজী কাগজেই লিথিয় থাকেন যে এতদেশীয় অনেক হিন্দুর মত আছে কিন্তু তন্মধ্যে শ্ৰীযুত রামমোহন রায়ের নামমাত্র বাঙ্গাল হরকরায় প্রকাশ পাইয়াছে। উত্তর তিনি হিন্দুকুলোদ্ভব বটেন ইহাতে তাবৎ বা অনেক হিন্দুর মত কিপ্রকারে সম্ভবে যদি বল র্তাহার পিতৃপুরুষের বা বংশের মত ইহাতে বুঝ। যাইতে পারে তাহা হইলেও অনেক বলা যায় না । উত্তর তাহাও কদাচ নহে কেননা তাহার পিতৃপুরুষের ও বংশের আচার ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম যাহা তাহ অনেকে জ্ঞাত আছেন ইহার তদ্বিপরীত দেখিতে শুনিতে পাই সুতরাং তাহার মত হইলেও তাহার বংশের মত বলা যায় না। পরস্তু সহমরণ রহিত বিষয়ে তাহাকে ইঙ্গরেজী সমাচারপত্রপ্রকাশকের প্রশংসা দিতেছেন তাহাতে আমরা দুঃখিত নহি কেননা যে কোন বিষয়ে যিনি প্রবৃত্ত হন তাহ স্বসিদ্ধ করিতে পারিলে র্তাহাকে প্রশংসা দেওয়া উচিত তিনি ব্রাহ্মণীকেল মেকজিন অর্থাৎ ব্রাহ্মণ সেবধিপ্রভৃতি গ্রন্থ করিয়া মিসনরিপ্রভৃতি খ্ৰীষ্টিয়ানেরদিগের নিকট অনেক প্রশংসা পাইয়াছিলেন এবং গুণপ্রকাশদ্বারা এদেশে সৰ্ব্বদাই প্রশংসা পাইতেছেন পাইবেন ইহাতে কে সন্দেহ করে – চন্দ্রিকা ৩ ডিসেম্বর । ( ২৩ জানুয়ারি ১৮৬০ । ১১ মাঘ ১২৩৬ ) মহামহিম শ্ৰীলশ্ৰীযুত লার্ড উলিএম কেবেণ্ডিশ বেণ্টিঙ্ক গবরনর জনরেল বাহাদুর ইন কৌনসেল মহামহিমেষু ফোর্ট উলিএম । পরের নাম লিখিত কলিকাতা নগরস্থায়ি এবং তন্নিকটস্থ গ্রামনিবাসিরা শ্ৰীলশ্ৰীযুতের মহোপকারে প্রফুল্ল অস্তঃকরণ সহিত এবং প্রচুর সন্ত্রম পূর্বক প্রার্থনা করিতেছে যে শ্ৰীলশ্ৰযুতের অনুমতিক্রমে সমীপস্থ হইয়া হিন্দু প্রজাদের স্ত্রী পরম্পরার জীবন রক্ষার নিমিত্ত মহামহিম ইদানীন্তন যে উপাদেয় নিয়ম করিয়াছেন এবং স্বেচ্ছাপূর্বক স্ত্রীবধকলঙ্ক আর আত্মঘাতের অতিশয় উৎসাহকারী রূপ ও ছুনাম হইতে চিরকালজন্য এ শরণাগত প্রজারদিগগে মোচন করিতে ষে করুণাযুক্ত হইয়া যে স্বসিদ্ধ যত্ন করিয়াছেন, সেই পরমোপকারের পুনঃ২ স্বীকার নম্রতাপূৰ্ব্বক শ্ৰীলশ্ৰীযুতের সাক্ষাতে করিতে অনুমতি প্রাপ্ত হয়। হিন্দু প্রধানেরা আপন২ স্ত্রী পরম্পরার প্রতি অতিশয় সন্দিগ্ধচিত্ত হইয় পরস্পর নিৰ্ব্বাহের সাধারণ সেতুকে উল্লঙ্ঘন এবং অবলা জাতির রক্ষণ বেক্ষণ যে পুরুষের নিয়ত ধৰ্ম্ম তাহাকে অবজ্ঞা করিয়া বিধবার উত্তরকালে কোনক্রমে অন্যাসক্ত না হইতে পান তন্নিমিত্ত আপনাদের অবাধিত ক্ষমতার উপর নির্ভরপূর্বক ধৰ্ম্মছলে সজীব বিধবারা যে স্বামির মরণের পরেই শোকের ও নৈরাণ্ডের প্রথম উন্মুখে আপন২ শরীর