ধৰ্ম্ম లిపిiు ( ১৩ ডিসেম্বর ১৮২৩। ২৯ অগ্রহায়ণ ১২৩e ) বক্রেশ্বর তীর্থ ॥—২৬ নবেম্বর তারিখে মেরকিউরি কাগজে বক্রেশ্বর তীর্থের বৃত্তাস্ত বিবরণ প্রকাশ হইয়াছে তাহার স্থল আমরা তর্জমা করিয়া প্রকাশ করিতেছি।— মোং বীরভূমির নিকট সিউড়ির পশ্চিম কএক ক্রোশ অন্তর বক্রেশ্বর শিবের এক মন্দির আছে সেই মন্দিরের নিকট চারি কুণ্ড আছে তাহহেইতে অনবরত উষ্ণোদক ফুটিয়া উঠিতেছে। ঐ কুণ্ড সকল চতুদিগে পাকা গজগিরি করিয়া বান্ধা এবং চারি দিগে ঘাট আছে । ঐ কুণ্ডহইতে সৰ্ব্বদা জল নির্গত হইয়া তাহার নিকট এক নদীতে পড়িতেছে কিন্তু তাহাতে কুণ্ডের জল কখন নুনাধিক হয় না। কুণ্ড প্রায় চারি হস্ত পরিমাণ গভীর হইবেক তাহার জল এমত উষ্ণ যে লোক হাতে স্পর্শ ভিন্ন অবগাহন করিতে পারে না কিন্তু কোন শস্ত দিলে সিদ্ধ হয় না ইহাতে আশ্চৰ্য্য এই যে তাহার অতিনিকটে আর কএকটা কুণ্ড আছে তাহার জল অতিশীতল । ( ২৭ মার্চ ১৮২৪ । ১৬ চৈত্র ১২৩e ) তারকেশ্বরের মহস্তের পুণ্য প্রকাশ।--শুনা গেল ষে তারকেশ্বরনিবাসি শ্রমস্তগিরি সন্ন্যাসী স্বীয় ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম সংস্থাপনার্থ এক বেগু রাখিয়াছিল তাহাতে জগন্নাথপুরনিবাসি রামসুন্দরনামক এক ব্যক্তি গোপের ব্রাহ্মণ ঐ বেণ্ডার সহিত কি প্রকারে প্রসক্তি করিয়া ছদ্মভাবে গমনাগমন করিত। পরে সন্ন্যাসী তাহা জানিতে পারিয়া ২ চৈত্র শনিবার রাজিযোগে সন্ধানপূর্বক হঠাৎ যাইয়া বেখাকে কহিল যে একটু পানীয় জল আন আমার বড় পিপাসা হইয়াছে তাহাতে বেশু। জল আনিতে গেলে সন্ন্যাসী সময় পাইয়া ঐ ব্রাহ্মণের বক্ষঃস্থলের উপর উঠিয়া তাহার উদরে এমত এক ছোরার আঘাত করিল যে তাহাতে তাহার মঙ্গলবারে প্রাণ বিয়োগ হইল পরে তথাকার দারোগা এই সমাচার শুনিয়া ঐ সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করিয়াছে এইমাত্র শুনা গিয়াছে । { ১১ সেপ্টেম্বর ১৮২৪ । ২৮ ভাদ্র ১২৩১ ) ফাসী।–পূৰ্ব্বে প্রকাশ করা গিয়াছিল যে তারকেশ্বরের মস্তরাম গিরি এক বেতার উপপতিকে খুন করিয়া ধরা পড়িয়াছিলেন তাহাতে জিলা হুগলির বিচারকর্তার তাহাকে বিচারস্থলে জানাইয় বারম্বার জিজ্ঞাসা করাতে প্রাণভয়ে ভীত হইয়া তিনবার অস্বীকার করিলেন কিন্তু ধৰ্ম্মস্ত সূক্ষ্মা গতিপ্রযুক্ত চতুর্থবারে স্বীকার করাতে ক্ৰযুক্তেরা বহুতর আক্ষেপপূৰ্ব্বক ফাসী হুকুম দিলেন তাহাতে ১৩ ভাত্র তারিখে রীত্যমুসারে তাহার ফণসী হইয়া কৰ্ম্মোপযুক্ত ফলপ্রাপ্তি হইয়াছে।