পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি {tఏ AA AMeeMMAe eeeAAAA صية تيته جينية حي. يهيخ هجة" يبة ** উক্ত ধৰ্ম্মের যোগ-রহস্ত অবগত না হইয়া, কেবল বাহ্যভোগ দৃষ্ট্রে প্রলুদ্ধ হইয়া ধৰ্ম্মমার্গ কলুষিত করিয়া ফেলিতেছে। ধৰ্ম্মরাজ্যের শ্রেষ্ঠ সিংহাসন ভূত-প্রেত কর্তৃক অধিকৃত হইয়া রহিয়াছে। দুঃখের বিষয় দিন দিন ইহাদিগের দল পুষ্টি হইতেছে। তান্ত্রিক সাধকগণ যেরূপ পঞ্চ-ম-কারের সাধনা বলিয়া অক্লেশে বোতল বোতল মদ উদরস্থ এবং মাংস লোভে পশুপক্ষী বংশ ধ্বংস করিতেছে, তদ্রুপ ইহারাও মধুররসের সাধন বলিয়া --সহজ ভজন বলিয়া, সোজাস্বজি –সহজ ভাবেই ব্যভিচার করিতেছে। তাই সমাজের শিক্ষিত ব্যক্তিগণ বৈষ্ণবের মধুর রসের নামে ঘৃণায় নাসিক কুঞ্চিত করিয়া থাকে। ঠাকুরের ঠাকুর আমার বৈষ্ণব গোসাইকে তাহারা লম্পট, বদমায়েস অপেক্ষাও ঘৃণার চক্ষে দেখিয়া থাকে । ঐরূপ বৈষ্ণব উপেক্ষাম্পদ হইলেও, তাহাদিগের পন্থা কখনই ঘৃণ্য নহে। ধৰ্ম্মরাজ্যের অধিকাংশ স্থানই চিরদিন ভূত-প্রেত ও বানরগণ কর্তৃক অধিকৃত রহিয়াছে। তথাপি তাহাদিগের ভিতরেও সময় সময় নন্দী বা হনুমানের দর্শন লাভ ঘটিয়া থাকে। আমি ধৰ্ম্মের নামে অধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিতে পারি বটে, কিন্তু তাহাতে সাধন-পন্থী দূষিত হইতে পারে না । আমিই বিনষ্ট হইব, কিন্তু ধৰ্ম্ম নষ্ট হইবে কেন ? তাই ঐ সকলের মুলে দেখিতে পাওয়া যায়, সেই বহু প্রাচীন বৈদিক কৰ্ম্মকাণ্ডের প্রবাহ, সেই যোগ ভোগের সম্মিলন ; আর দেখিতে পাওয়া যায়, সেই তান্ত্রিককুলাচাৰ্য্যগণের প্রবর্তিত অদ্বৈত-জ্ঞানের সহিত প্রতিক্রিয়ার সম্মিলনের কিছু কিছু ভাব ! তন্ত্রশাস্ত্র মতে সৰ্ব্বোচ্চ সহস্রার-অকুল স্থান, আর সর্বনিম্ন মূলাধার—কুল স্থান ; এইস্থানে শুক্র সম্বন্ধীয় সাধনার অনুষ্ঠান করিতে হয় বলিয়া, এই সাধনাকে কুলাচার বলা হইয়া থাকে। যোগেশ্বর মহাদেব বলিয়াছেন ;— কুলাচারং বিন দেৰি কলে মন্ত্ৰং ন সিধ্যতি ॥. –নিরুত্তর তন্ত্র।