পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি ృుగి _ ക്ഷപക്ഷ.ക്ഷ.ഇ.ബ সংযম করা, কিম্বা কেবল শাস্ত্রোপদেশ ও বক্তৃতা করা, প্রকৃত ভক্ত বা যোগী, কিম্বা জ্ঞানীর লক্ষণ নহে। সদ্বিষয়ে তীব্র আবেগ, পূর্ণ শারীরসংষম ও সম্যক, প্রভা, এই তিন না থাকিলে কেহ ভক্ত, যোগী বা জ্ঞানী কিছুই হইতে পারে না—কোন মার্গেই সিদ্ধি লাভ করিতে পারে না । n একসময় এতদ্দেশে কৰ্ম্মযোগের প্রাধান্ত ছিল ; কিন্তু জ্ঞান ও ভক্তির অভাবে তাহ পুনঃ পুনঃ সকামে পরিণত হয়, তাই বুদ্ধদেব কৰ্ম্মের সম্প্রসারণ করিয়া জ্ঞানযোগ প্রচার করেন । কিন্তু তাহাও ঈশ্বরসম্বন্ধে নীরবতাপ্রযুক্ত নাস্তিকতা ও জড়ত্বে পরিণত হয়। তাই শঙ্করাচাৰ্য্য বৌদ্ধধৰ্ম্মের জড়ত্ব ঘুচাইয়া জ্ঞানের সম্প্রসারণপূর্বক স্বীয় সাৰ্ব্বভৌম জ্ঞানবাদে বিলীন করেন । কিন্তু তাহাও শিক্ষা ও মায়াবাদের কঠোরতায় পরিণত হইলে, শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্তদেব আবিভূত হইয়া, তাহার সহিত প্রেমভক্তি মিলাইয়া, হিন্দুধৰ্ম্ম মধুর করিয়াছেন । সুতরাং ধৰ্ম্মপিপাস্ক সাধকগণ কৰ্ম্ম, জ্ঞান ও ভক্তিযোগের আশ্রয়ে সাধনা করিয়া মানবজীবনের পূর্ণত্ব প্রতিষ্ঠিত করিবেন। চৈতন্যদেব শেষ অবতার ; সুতরাং চৈতন্তোক্ত প্রেমভক্তি লাভই সাধ্যাবধি অর্থাৎ চরম-ধৰ্ম্ম । কৰ্ম্ম, জ্ঞান ও ভক্তির সাহায্যে প্রেম-ভক্তিলাভই মানবের পরম পুরুষাৰ্থ। আমরা এ পর্য্যন্ত সেই প্রেমভক্তি লাভেরই উপায় বিবৃত করিয়া আসিয়াছি। তবে ভক্তির অধিকারী ও । স্তরভেদে, তাহার সাধনা ও সাধ্যফল পৃথক পৃথক, ভাবে লিখিত হইলেও স্বধী ব্যক্তিগণ তাহা হইতে সাধ্য-প্রেমভক্তি লাভের উপায়স্বরূপ এক সাৰ্ব্বষ্টেীম পন্থাই দেখিতে পাইবেন । আরও দেখিবেন যে, ঐ সাধনপন্থীর মধ্যে কৰ্ম্ম, জ্ঞান ও ভক্তির অপূৰ্ব্ব সমাবেশ রহিয়াছে। আধুনিক বৈষ্ণবগণ “কৰ্ম্মকৰ্ণও, জ্ঞানকাও, সকলই বিষের ভাণ্ড” বলিয়া মুন্সিয়ান চালে বিজ্ঞতার পরিচয় প্রদান করিলেও, মহাপ্রভু শ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের পার্ষদস্বরূপ