পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షాty প্রেমিক-গুরু নিরবচ্ছিন্ন সুখসম্ভোগই স্বর্গ এবং তাহাই মনুষ্যের মুখ-তৃষ্ণার বিশ্রামভূমি। তাহাই পরম পুরুষাৰ্থ এবং তাঁহাই মুক্তি ও অমৃত। বাস্তবিক মনে হয়, দুখঃ-নিরোধ হইলেই মানুষ মুক্ত হয়। দুঃখ নিবারণ কয়েই মানুষের আকুল-আকাঙ্কার ছটাছটা। ঐকান্তিক দুঃখ নিরোধের নামই মুক্তি। ইহা একটা অস্বাভাবিক তর্কজাগজড়িত অদ্ভুত কথা নহে, প্রাণের অতি নিকটের কথা । তাই জগতের যাবতীয় দার্শনিকগণ “দুঃখের আস্তান্তিক নিরোধকেই পরম পুরুষাৰ্থ” বলিয়া নির্দেশ করিরাছেন। প্রভেদ এই যে, বিভিন্ন দার্শনিক মতে ইহা বিভিন্নোপারে লভ্য। পাশ্চাত্য দার্শনিকগণের এই বিভেদ পূৰ্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। ভারতীয় দার্শনিক মতেও অতি স্বল্প দুলক্ষ্য প্রভেদ আছে । মাধবাচার্য্যের বর্ণনানুসারে ভগবান শঙ্করাচার্য্য সারদাপীঠাধিরোহণ সময়ে এই বিভেদ প্রদর্শন করিতে আহুত হইয়া বক্ষ্যমান নির্দেশ করিয়াছিলেন ;– অত্যন্তনাশে গুণসঙ্গতে র্য। স্থিতিনভোবৎ কণভক্ষপক্ষে । মুক্তিস্তদীয়ে চরণাক্ষপক্ষে সানন্দসন্ধিৎসহিত বিমুক্তিঃ ॥ —শঙ্কর বিজয় । গুণসঙ্গের সম্পূর্ণ নিরোধ হইলে আত্মার আকাশের স্থায় শূন্তরূপে অবস্থান, ইহাই বৈশেষিক মুক্তি ; ন্যায় মতে আনন্দ ও জ্ঞানসংমিশ্র পূৰ্ব্বোক্ত অবস্থাই মোক্ষাবস্থা । কিন্তু নৈয়ারিক মতে মুক্তির এরূপ ব্যাখ্যান স্বীকার করিলে পূৰ্ব্বাপরসঙ্গতি দুর্ঘট হইয় উঠে । নৈয়ায়িক মতে অদৃষ্টবশে আত্মার সহিত মনের সংযোগে চৈতন্তের উৎপত্তি হয় ; ইচ্ছা, দ্বেষ প্রযত্নাদির দ্যায় ইহা আত্মার একটী গুণ মাত্র। যদি বিমুক্ত অবস্থায় গুণসঙ্গতির অত্যন্ত নাশ হইল তবে চৈতন্থ কোথায় থাকে, আনন্দই বা কিরূপে উৎপন্ন হয় ? তবে যদি দুঃখাভাবকই অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দ বলা হয়, সে