পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মুক্তি C) যাহারা লীলাননো মাতিয়া যান তাহারা নিত্যাননের আস্বাদ না পাইয়া নিত্যাবস্থা কঠোর ও শুষ্ক জ্ঞানে বিজ্ঞতা প্রকাশ করেন, জাবার যাহারা কেবল নিত্যানন্দে মাতোয়ারা, তাহারা অনিত্যজ্ঞানে লীলাননে অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। কিন্তু ভগবান যেমন নিত্য অর্থাৎ অনাদি ও অনন্ত, ভগবানের লীলাও তদ্রুপ অনাদি ও অনস্ত । সুতরাং নিত্য ও লীলা, ভগবানের এই উভয় ভাব যুগপৎ যিনি উপলব্ধি করিয়াছেন, তিনিই ব্রহ্মবিৎ—তিনিই প্রেমিক-শিরোমণি । ভক্তিমার্গ ও জ্ঞানমার্গের মধ্যে একটা পথ অবলম্বন করিলে পূর্ণ সচ্চিদানন্দ উপলব্ধি হয় না । উভয় মার্গাবলম্বন অর্থাৎ—জ্ঞান ভক্তির সমন্বয়ী-মার্গে গমন না করিলে পূর্ণানদের অধিকারী হওয়া যায় না ;–এবং হৃদয়ের সঙ্কীর্ণতা দূর হইয়া সাৰ্ব্বভৌম উদারতা জন্মে না । কাজেই তাহারা সাম্প্রদায়িক গণ্ডী ছাড়াইতে না পারিয়া হিংসদ্বেষে ধৰ্ম্মজগৎ কলুষিত করিয়া থাকে। আর র্যাহার হৃদয়ে জ্ঞান-ভক্তির মিলন হইয়াছে, তাহার নিকট কোন গোল নাই, কোন বিদ্বেষ নাই, তিনি সকল সম্প্রদায়ে মিশিয়া, সকল রসে রসিয়া এবং সকলের নিকট বসিয়া সৰ্ব্বপ্রকার আনন্দ লাভ করিয়া থাকেন। হনুমান, প্রহ্নাদ, শুকদেব, জনক প্রভৃতি মহাত্মারা জ্ঞানভক্তির মিলনে কৃত-কৃতাৰ্থ হইয়াছিলেন । রামপ্রসাদ, তুলসীদাস, শুরু নানক প্রভৃতি মহাপুরুষগণও জ্ঞানভক্তির মিলনানন্দের আস্বাদ পাইয়াছেন। শঙ্করাচার্য্য ও গৌরাঙ্গদেবের মিলনই জ্ঞানভক্তির সমন্বয় । আমরা ভগবান রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জীবনে শঙ্কর ও গৌরাঙ্গের অপূৰ্ব্ব মিলন দেখিয়াছি। “অদ্বৈতজ্ঞান অণচলে বেঁধে যা খুলী তাই কর” এই বলিয়া তিনি এক নিঃশ্বাসে ধৰ্ম্মজগতের যাবতীয় গোল মিটাইয়া দিয়াছেন । কেননা বিশ্লেষণ so {} < bسیمس می