পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ধৰ্ম্মসাধন । বিভীষিকাত্ৰান্ত, সংশয়াকুল ও অবিশ্বাসে পূর্ণ হইয়া সুপরিচিত পথহারা হইয়া পড়ি। এই কালে আর আলোক আলোক বলিয়া বোধ হয় না। স্বৰ্য্যের প্রখর তেজঃ অন্ধকারের স্থায় প্রতীয়মান হয়, কারণ সে আলোক আমাদিগের মনের অন্ধকার অণুমাত্র আপনয়ন করিতে সমর্থ হয় না। প্রলোভন, মোহ, অহঙ্কার, দুৰ্ব্বলতা, পাপাসক্তি এই সমুদায়েই হৃদয়ের অন্ধকার বৰ্দ্ধিত করিয়া তুলে। এইকালে আমাদিগের হৃদয় এইরূপ অন্ধকারের অপনয়নার্থ জ্যোতির জন্য ব্যাকুল হয়,অৰ্থাৎ রাহাকে আশ্রয় করিলে এই ভয় হইতে মুক্ত হওয়া যায়, বিশ্বাসের পথে অবতীর্ণ হওয়া যায়, তাহার নিমিত্ত ব্যাকুলিত হয়। করিবে ? কেবল জ্যোতির জ্যোতিকেই দেখিতে চায় এবং যাও।” তখন হৃদয়ে তাহার আবির্ভাব জানিতে পারিয়া উৎফুল্ল হভয়া যায়, ও সমুদায় ভয় অবিশ্বাস তিরোহিত হয় । - ৩য় । “মৃত্যু হইতে আমাকে অমৃতেতে লইয়৷ যাও।” এই প্রার্থনা সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক প্রয়োজনীয়। হৃদয় শূন্তে ছিল, অসত্যে ছিল, পূর্ণ হইল, সত্যের দিকে আসিল। অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিলাম, আলোক পাইলাম, অন্ধকার চলিয়া গেল, কিন্তু এরূপ ভাব ত আমাদিগের সৰ্ব্বদা থাকে না। একবার অসত্যে পড়িলাম, অন্ধকারে পতিত হইলাম, বার বার উঠিতে লাগিলাম, আবার পড়িলাম। জীবন পাইলাম, আবার মরিলাম। পাপ আসিয়া আবার হৃদয়ে প্রবেশ করিল। শূন্যভাব আবার হৃদয়কে অধিকার করিল, হৃদয় শুদ্ধ