পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মসাধন। ২৯ আমার পাপ যত হউক না কেন, ঈশ্বরের করুণা তদপেক্ষা অধিক, অতএব কৃত পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিলে অবগুই সে পাপের ক্ষম হয়। কিন্তু আমি কি ভ্রাতৃহত্য অপরাধের ক্ষমা প্রার্থনা করিতে পারি? কখনই না, কেন না, অপরাধের ফল যে রাজমুকুট, ও রাজমহিষী, তাহ এখনও অধিকার করিয়া রহিয়াছি। দোবের ক্ষম হইবে, অথচ দূষিত সুখ সকল হস্তগত করিয়া রাখিব এমন কি হইতে পারে ? তবে কি উপায় অবশিষ্ট আছে ? দেখা যাউক, অনুতাপের সাধ্য কি, অসাধ্যই বা কি ? কিন্তু যে ব্যক্তি অনুতাপ করিতে পারে না, তাহার পক্ষে অনুতাপ কি করিতে পারে? হা দুর্ভাগ্য অবস্থা! হা কঠোর পাষাণ হৃদয় ” । তৎপরে তিনি অনুতাপের জন্য অনেক চেষ্টা করিয়া নিরাশ “আমার বাক্য সকল উদ্ধগামী হইতেছে, কিন্তু মনের ভাব নিম্নে রহিতেছে ; ভাববিহীন বাক্য কখনও ঈশ্বরের নিকট যাইতে পারে না ।” - আমরা মোটামুটি পাপ ধরিয়া অনুতাপ করি, তাই পাপের তীক্ষতা অনুভব করিতে পারি না। যাহার জীবনে যে পাপ যে বিশেষ মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া রাজত্ব করে, তাহার সেই ভাবে তাহাকে নির্দেশ করিয়া অনুতাপ করিতে হইবে। লোকের ধন সম্পত্তি কি গাড়ী ঘোড়া দেখিয়া আমার হিংসা হয় না বলিয়া আমি যে সে পাপ হইতে মুক্ত আছি, বলিতে পারি না; হয়ত, এক জন বক্ত, কি বিদ্বান, কি ধাৰ্ম্মিক লোকের আদর দেখিয়া,