পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$象 ধৰ্ম্মসাধন । তেছি, তাহার মধ্যে ইহকাল ইহার অতি ক্ষুদ্র অংশ ; তাহার পর পরকাল। মৃত্যু কিছুই নয়,একটা ঘটনামাত্র। ব্রাহ্মধৰ্ম্মমতে জীবন একই, অনন্তকাল পর্য্যন্ত প্রসারিত। আমরা ইহজীবনে পরকালের কেবল আভাস মাত্র পাই তাহা নহে, কিন্তু তাহার এক অংশ লইয়া জীবন যাপন করিতেছি। যত বার - ঈশ্বরে অবস্থান, তাছার ধ্যান,তাহার সাধন,ততবার পরলোক আস্বাদন। ঈশ্বরেতে বাসসময় সীমাবিশিষ্ট হইলে ইহকাল, অসীম হইলে পরকাল । আধ্যাত্মিক সাধন করিতে হইলে শরীরকে ছাড়িয়া দিতে হইবে। পরলোক হইতে ইহলোককে স্বতন্ত্র করিয়া ভাবিতে পারা ভয়া নক অবস্থা, কেন না তাহাতে ঈশ্বর ও পরকাল দুই স্বতন্ত্র থাকে ও ভাবিয়া তাবিয়া স্থির করিতে হয়। সাধন চসম পরিলে ঈশ্বর ও পরকাল একত্র অতি উজ্জ্বল বেশে প্রকাশ পায়। সাধনহীন দুৰ্ব্বল চক্ষুক্তে উভয়ই ঝাপ্‌স দেখায়। এইরূপ অস্পষ্ট দেখা নিম্ন শ্রেণীর জ্ঞান। নদীতে কোয়াস হইলে তাহার অতি অল্প মাত্র অংশ দেখা যায়। অবশিষ্ট ভাগ নাই এরূপ নহে ; কিন্তু তাহা কত দূর ও কিরূপ, কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না। সাধনবিহীন ব্যক্তিদিগের নিকটে পরকালের ভাব এই প্রকার। তাহারা মৃত্যু রূপ একটা প্রাচীর গাথিয়া শরীর মধ্যে ও ইহ সংসারে বাস করে, ঈশ্বর ও অনন্ত জীবন ভুলিয়া যায়। শরীরবাসী আত্মা ইন্দ্রিয়সুখপরায়ণ হইয়া আহার পান ; আমোদ প্রমোদকেই ইহার জীবনের সর্বস্ব মনে করে। সাধকগণ যতবার মনে করেন জীবিত আছি, ততবার মনে করেন ঈশ্বর ও পরকালে জীবিত আছি। ঈশ্বর ও পরলোকে অবিশ্বাসী ব্যক্তি