পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧ના ধৰ্ম্মসাধন। যে প্রকার গঠন প্রণালী, তাহাতে পতিহীন হইলে নারীদিগের জীবন থাকা না থাকা সমান । বিশেষতঃ তাহাদিগকে এত যন্ত্রণ ও প্রলোভনে পতিত হইতে হয় যে সে সকল অতিক্রম করা দুঃসাধ্য। পত্নী পতির অনুমৃত হইলে সকল পাপ ও যন্ত্রণা হইতে নিস্তার পাইবে ভাবিয়া এই প্রথার স্বষ্টি হইল । পরে ইহা বদ্ধমূল করিবার জন্ত শাস্ত্রে ইহার অশেষ গুণ ব্যাখ্যা করিল। এইরূপে দয়ার ভাব হইতে নিষ্ঠুর কার্য সকল অনু ষ্ঠিত হয়। । o প্র। যখন কোন কাৰ্য্যে উপকার হইবে কি না হইবে জানিতে পারি না, তখন বিবেকের আদেশ শুনা যায় কি না ? উ। বিবেক ফলাফল চিন্তা করিয়া কোন আদেশ করেন না । যেখানে কোন বিশেষ সৎ প্রবৃত্তি প্রবল হইয়া কার্য্যের প্ৰবৰ্ত্তক হয়, সেখানেও বিবেকের তত প্রয়োজন নাই। যেখানে ভিন্ন ভিন্ন প্রবৃত্তি মনকে ভিন্ন ভিন্ন দিকে টানে অথবা যেখানে কোন প্রবৃত্তির উত্তেজনা দেখা যায় না, ৰিবেক সেখানে গম্য পথ স্পষ্ট রূপে দেখাইয় দেয়। উপমার জন্ত বিবেককে ঈশ্বরের মুখ অথবা আত্মার কর্ণ বলা যায়, কিন্তু বিবেক অর্থ আমাদের মনের ধৰ্ম্মভাব। পূৰ্ব্বে বলা গিয়াছে আমাদের সাধুভাব কি ? না ঈশ্বরের সত্যভাব যে টুকু আমাদের মনে প্রতিভাত হয়, সুতরাং তাহা স্বয়ং ঈশ্বর। যে পরিমাণে ঈশ্বরের সঙ্গে যোগ হয়, সেই পরিমাণে আমি বিবেকী। বিবেক আমার ধৰ্ম্মবুদ্ধি নয়, যে তাহ শাণাইয়। রাখিব এবং তদ্বারা সকল ধৰ্ম্মের তত্ত্ব নিরূপণ করিব। জীবনের সঙ্গে ইহার যোগ। যথার্থ আবর্তক সময়ে ইহা ঠিক যাহা কৰ্ত্তব্য,