দ্বিতীয় অধ্যায় । (3 করেন। তজ্জন্য, তুমি যোগের অনুষ্ঠান কর । কৰ্ম্মে কৌশলই যোগ ॥ ৫• } “বুদ্ধিযুক্ত”—অর্থাৎ বুদ্ধিযোগে যুক্ত । যে সকল কৰ্ম্মের ফল স্বৰ্গাদি, তাহাই স্বকৃত । আর সে সকল কৰ্ম্মের ফল নরকাদি, তাছাই দুষ্কৃত । যিনি বুদ্ধিযুক্ত, তিনি যাহাতে স্বর্গাদি বা নরকাদি প্রাপ্তি হয়, তাদৃশ উভয়বিধ কৰ্ম্মই পরিত্যাগ করেন । ইহার তাৎপৰ্য্য এমন নহে, যে তিনি কোন প্রকার সৎকৰ্ম্ম করেন না, অথবা ভাল মন্দ কোন কৰ্ম্মই করেন না । ইহার অর্থ এই যে তিনি স্বর্গাদি কামন, বা নরকাঙ্গির ভয়ে কোন কৰ্ম্ম করেন না । যাহ করেন, তাহ অতুষ্ঠেয় ঘলিয়া করেন । অতএব তুমি যোগের অনুষ্ঠান কর । কৰ্ম্মে কৌশলই যোগ । প্রাচীন ভাষ্যকারের এ কথার এই অর্থ করিয়াছেন যে, কৰ্ম্ম, বন্ধনজনক, কেন না কৰ্ম্ম করিলেই পুনশ্চ জন্মগ্রহণ করিয়া তাহার ফলভোগ করিতে হয়। কিন্তু তাদৃশ বন্ধনকেও যদি ঈশ্বরারাধনার সাহায্যে মুক্তির উপায়ে পরিণত করিতে পারা যায়, তবে তাহাকেই কৰ্ম্মে কৌশল বা চাতুর্য্য বলা যায়। উনবিংশ শতাব্দীতে আমরা এরূপ বুঝিতে প্রস্তু ত নহি । আমরা বুঝি, যিনি কৰ্ম্মে কুশলী, অর্থাৎ আপনার অমৃষ্ঠেয় কৰ্ম্ম সফল যথাবিহিত নিৰ্ব্বাহ করেন, তিনিই যোগী ! কৰ্ম্মে তাদৃশ কৌশল বা বিহিত অনুষ্ঠানই যোগ । “যোগঃ কৰ্ম্মস্থ কৌশল্য ।” এ কথার এই অর্থ ই সহজ এবং সঙ্গত বলিয়া বোধ হয়। যেখানে সহজ অর্থ আছে সেথানে,প্ৰভাষ্যকার মহামহোপাধ্যায়দিগকে দুর হইতে প্রণাম করিয়া, আমরা সেই সহজ অর্থেরই অম্নবৰ্ত্তী হইব ।