পাতা:শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । ఇతి Y জগদীশ্বরের, কেহ বহু দেবতার উপাসনা করেন ; কোনও জাতি ভূতযোনির, কোনও জাতি বা পিতৃলোকের, কেহ সজীবের, cকক্ষ নিজীবের, কেহ মনুষ্যের. কেহ গবাদি পশুর, কেহ বা বৃক্ষের বা প্রস্তরখণ্ডের উপাসনা করে । এই সকলই উপাসনা, কিন্তু ইহার মধ্যে উৎকর্ষপকর্ষ আছে অবশু স্বীকার করিতে হইবে । কিন্তু সে উৎকর্ষপকর্ষ কেবল উপাসকের জ্ঞানের পরিমাণ মাত্র । যে নিতান্ত অজ্ঞ, সে পথিপাশ্বে পুষ্পচন্দনসিন্দূরাক্ত শিলাখণ্ড দেখিয়া, তাহাতে আবার পুষ্পচন্দন সিন্দুর লেপিয়া যায় ; যে কিঞ্চিৎ জানিয়াছে, সে না হয়, নিরাকার ব্রহ্মের উপাসক। কিন্তু ঈশ্বরের প্রকৃতির পরিমাণ জ্ঞান সম্বন্ধে দুই জনেই প্রায় তুল্য অন্ধ । যে হিমালয় পৰ্ব্বতকে বল্মীক পরিমিত মনে করে, আর যে তাহাকে বংগ্র পরিমিত মনে করে, এ উভয়ে সমান অন্ধ । ব্রহ্মবাদীও ঈশ্বর স্বরূপ অবগত নহেন—শিলাখণ্ডের উপাসক ও নহে। তবে একজনের উপাসনা ঈশ্বরের নিকট গ্রাহ, আর একজনের অগ্রাহ ইহা কি প্রকারে বলা যাইবে ? হয় কাহারও উপাসনা ঈশ্বরের গ্রাহ নহে, নয় সকল উপাসনাই গ্রাহ । স্থল কথা, উপাসনা আমাদিগের চিত্তবৃত্তির, অামাদের জীবনের পবিত্রতা সাধন জন্ত—ঈশ্বরের তুষ্টিসাধন জন্ত নহে। যিনি অনস্ত আনন্দময়, যিনি তুষ্টি অতুষ্টির অতীত, উপাসনার দ্বারা আমরা তাহার তুষ্টিবিধান করিতে পারি না । তবে ইহা যদি সত্য হয় যে তিনি বিচারক—কেন না কৰ্ম্মের কলবিধাতা!—তবে যাহা তাহার বিশুন্ধ স্বভাবের অনুমোদিত, সেই উপাসনাই তাহার গ্রাহ হইতে পারে। যে উপাসনা কপট, কেবল লোকের কাছে ধাৰ্ম্মিক বলিয়া প্রতিষ্ঠালাভের উপায়