পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

too/* য ওষধিযু যে বনস্পতিৰু তস্মৈ দেবায় নমো নমঃ ॥ “যে দেবতা অগ্নিতে, যিনি জলে, যিনি নিখিল-ভূবনে প্রবিষ্ট আছেন, যিনি ওষধিসমূহে বিরাজমান, যিনি বনস্পতিসমূহে বিরাজমান, সেই জ্যোতির্ময় দেবতাকে পুনঃ নমস্কার।” বিভূতিভূষণের মুখে মাঝে মাঝে একটি কথা শোনা যেতো—‘ওরে বাবা আমার ব্ৰহ্মজ্ঞান হয়ে গেছে । সেই ব্ৰহ্মজ্ঞান যে কি তা কোনদিন ব্যাখ্যা করে বলেন নি বটে তবে সাধুজীর মুখ দিয়ে কুশল পাহাড়ীর শেষ কটি লাইনে ব্যক্ত করেছেন— “মুক্তির ধারণা বন্ধন আছে বলেই আসে। যথার্থ বিচারের দৃষ্টিতে মানুষের মুক্তিও নেই বন্ধনও নেই। ব্রহ্ম এক অচিনরাজ্য, যে সেখানে যায় সেই বোঝে ব্রহ্ম দ্বৈতও নয় অদ্বৈতও নয়। তিনি শাস্ত্রের ওপারে, বাদামুবাদের ওপারে, দ্বৈতবাদের প্রতিপাদ্যও নয়, অদ্বৈতবাদের প্রাপ্য নয়। অনুভূতিই একমাত্র জিনিস। মানুষ মুক্ত আছেই, কেবল সে-সম্বন্ধে সচেতন নয় সে । মাস্থ্য সদ্যমুক্ত, সে মহিষ । কিছু পড়তে হবে না। কিছু সাধন করতে হবে না। অনুভূতিই উত্তরায়ণের সেই অভিযাত্রী, যা তাকে পলকে মুক্তির জ্যোতিলোকে নিয়ে গিয়ে তুলতে পারে। বিশ্বাস করে বাবা। মানুষ মুক্ত, সে-ই নিজেকে নিজে বেঁধেছে। সে-ই অনুভব করুক সে মুক্ত। সে মহিষ সে মুক্ত !” 鶯 | 6 || পরিশেষে বক্তব্য, বিভূতিভূষণের রচনা সম্বন্ধে ডঃ তারাপদ মুখোপাধ্যায় বলেছেন : “বাংলা সাহিত্যে বিভূতিভূষণ নতুনত্ব এনেছেন দুই ভাবে। এক তুচ্ছ অকিঞ্চিৎকর তার রচনায় সহনীয় হয়েছে। দুই শিশুমনকে শিশুর মত সরলতায় ও সমবেদনায় ফুটিয়ে তুলেছেন। রচনার সহৃদয়ত এবং অকৃত্রিমভার গুণে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বিভূতিভূষণ বন্ধ্যোপাধ্যায় চিরস্মরণীয়।” আমার মনে হয় আরো যে দু'টি কারণ মুখ্যতঃ বিভূতিভূষণের রচনার স্থায়িত্বের দাবী রাখে তার প্রধান ও প্রথম কারণ হল রচনার স্বচ্ছ সাবলীলতা । সহজ ও সরল sors otgfú-43 stop-It is not casy to write a familiar style. Many people mistake a familiar for a vulgar style Î" রবীন্দ্রনাথের উক্তি ও জ্ঞাতব্য : *সহজ কথায় লিখতে আমায় কহ যে, সহজ কথা যায় না লেখা সহজে * ' দ্বিতীয় কারণটি হ’ল : বিভূতিভূষণের সাহিত্যে প্রকৃতির যে অবাধ মেলামেশা এ