পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊाटैश छल ማ¢ এ লাবণ্যভরা চঞ্চলত, এত প্রাণের প্রাচুর্ঘ্য নেই ; এমন স্বন্দর অঙ্গভঙ্গি করে সে হাটতে পারে না, এমন বিদ্যুতের মত কটাক্ষ তার নেই, এমন দুঃমির হাসি তার মুখে ফোটে না । পান্না বললে—দেশে গিয়েছিলে ? —#| | —তবে এলে যে আবার ? —তোমায় দেখতে । —সত্যি বলো না ? —বিশ্বাস করে। আজ মঙ্গলগঞ্জ থেকে সোজা তোমার এখানে আসচি । —কেন ? বলো, বলতেই হবে। —বলবো না । —বলতেই হবে, লক্ষ্মীটি। —তোমার জন্যে মন কেমন করে উঠলো। তুমি সেদিন দোর ধরে দাড়িয়েছিলে, সে জায়গাটা দেখেই মন বড় অস্থির হল, তাই ছুটে এলাম । —খুব ভালো করেচ । জানো ? আমি মরে যাচ্ছিলfম তোমার সঙ্গে দেখা করবার জন্যে। তুমি যে দিনটি চলে গেলে, সেদিন থেকে— —কেন মিথ্যে কথাগুলো বলো ? ছিঃ ! পান্না খাড়া হয়ে উঠে দাড়িয়ে ঘাড় বেঁকিয়ে বললে –কি ? আমি তোমার পায়ে মাথা কুটে মরবো দেখে তবে—আমি মিথ্যে কথা বলচি ? আমি মুখের সমুদ্রে ডুবে গেলাম। কি আনন্দ ! সে আনন্দের কথা মুখে বলে বোঝানো যাবে না। এই স্বন্দরী লাবণ্যময়ী চঞ্চল ষোড়শী আমার মত মধ্যবয়স্ক লোককে ভালোবাসে ! এ আমার এত বড় গৰ্ব, আনন্দের কথা, ইচ্ছে হয় এখুনি ছুটে বাইরে চলে গিয়ে দু’পারের দুই পথের প্রত্যেক লোককে ধরে ধরে চীৎকার করে বলি– ওগো শোনো—পান্না আমাকে ভালোবাসে, আমার জন্যে সে ভাবে ।---ভালোবাসা ! জীবনে কখনো আস্বাদও করি নি। জানি নে ও জিনিসের রূপ কি। এবার যেন ভালোবাসা কাকে বলে বুঝেচি। ভালোবাসা পেতে হয় এরকম স্বন্দরী ষোড়শীর কাছ থেকে, যার মুখের হাসিতে, চোখের কোণের বিদ্যুৎ কটাক্ষে ত্রিভুবন জয় হয়ে যায় ! কেন, আমি আজ তেরো বছর হল বিয়ে করেছি। স্বরবালা কখনো ষোড়শী ছিল না ? সে আমাকে ভালোবাসে না ? মেয়েদের ভালোবাসা কখনো কি পাই নি ? সে কথার জবাব কি দেবে। আমি নিজেই খুঁজে পাই না। কে বলে স্বরবালা আমায় ভালোবাসে না ? কিন্তু সে এ জিনিস নয়। তাতে নেশা লাগে না মনে । সে জিনিসটা বড় শাস্ত, স্থির, ংযত, তার মধ্যে নতুন আশা করবার কিছু নেই—নতুন করে দেখবার কিছু নেই-ও কি বলবে আমি তা জানি, বলতেই তাকে হবে, সে আমার বাড়ী থাকে, খায়, পরে। ভালো মিষ্টি