পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2\o বিভূতি-রচনাবলী সন্ধ্যার আগে অসির হোল। অনেক স্নাত পৰ্য্যস্ত পান্না আর নীলি নাচলে । পারা নাচের ফঁাকে ফঁাকে আমার সঙ্গে এসে কথা বলে। জিজ্ঞেস করলে—কেমন হচ্চে ? —চমৎকার । —তোমার ভালো লাগচে ? —নিশ্চয়ই । @ —তুমি কিন্তু উঠে না। তা হলে আমার নাচ খারাপ হয়ে যাবে। নীলি কি বলচে জানো ? বলচে তোমার জন্যেই নাকি আমার নাচ ভাল হচ্চে । —ও সব ৰাজে কথা । ভাত রাধবো ষে । —না। ছিঃ, ওসব কি কথা ? —তোমরা নেচে গিয়ে তবে খাবে ? ওরা চাল ভাল দিয়েচে । মাছ কিনে দিয়েচে । অামি রাধবো । —কক্ষনো না । তোমায় যেতে দেবো না । নীলি আর আমি, রান্না করবে। এর পরে । নায়েবমশায় সামনেই বসে। আমার দিকে দেখি কটমটিয়ে চাইচেন বোধ হল পান্না যে এত কথা আমার সঙ্গে বলচে এটা তিনি পছন্দ করচেন না। আট দশ টাকা প্যালা দিলেন নিজেই রুমালে বেঁধে বেঁধে—শুধু পান্নাকে। একটু বেশি রাত হলে আমাকে একজন বরকন্দাজ ডেকে বললে—আপনাকে নায়েববাৰু ভকিচেন । আমি গেলাম উঠে। নায়েবমশায় আসরের বাইরে একটা গাছতলায় দাড়িয়ে। আমায় বললেন—এই মেয়েটির নাম কি ? আমি বললাম—পান্না । —তোমার কেউ হয় ? —না। আমার কে হবে ? নায়েবমশায় দেখি আমার দিকে তীক্ষ দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েচে । আমার চেহারার মধ্যে লে যেন কি খুঁজচে । আমাকে আবার বললে—তুমি এখানে এসেচ রান্না করতে বলছিলে नां ? –ਂ | —ক’টাকা পাও ? –এই গিয়ে সাত টাকা আর খোরাকী । -बांधून ? —জাঞ্জে হ্যা । —আমাদের জমিদারী কাছারিতে রান্না করবে ? —মাইনে কত দেবেন ?