পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अटैथ छत्र ሕፃ —দশটাকা পাবে আর খোরাকী। কেমন ? —আচ্ছা, আপনাকে ভেবে বলবো । —এ বেলাই বলবে তো ? এখুনি বলে। আমি বাসা হতে চ খেয়ে ফিরচি। —আজ্ঞে হ্যা । নায়েবের সামনে থেকে চলে এলাম । হাসি পেলেও হাসি চেপে রাখলাম। নায়েব ভেবেচে অামি ওর মতলবের ভেতরে ঢুকতে পারি নি। ও কি চায় আমার কাছে তা অনেকদিন থেকে বুঝেছি। পাচক সংগ্রহে উৎসাহ ও ব্যস্ততা আর কিছুই নয়। ওর আসল মতলবটা ঢাকবার একটা আবরণ মাত্র । অামার অনুমান মিথ্যে হতে পারে না এ ক্ষেত্রে। একটু পরে কাছারির একজন বরকন্দাজ এসে বললে—চলো, নায়েববাবু ডাকচেন । গিয়ে দেখি নায়েবমশায় চা খাচ্চেন, কাছারির কোণের ঘরে তক্তপোশের ওপর বমে। ঘরে আর কেউ নেই। আমায় দেখে বললেন—এসো, বসে। চা খাবে ? —আজ্ঞে, আপনি খান । —খাও না একটু ! এই আছে, ঢেলে নাও । নায়েবমশায়ের হৃদ্যতায় আমার কৌতুক বোধ হলেও কোনমতে হাসি চেপে রাখি। নিত্য থেকে লীলায় নেমে দেখি না ব্যাপারটা কি রকম দাড়ায়। সত্যিকার রাধুনি বামুন তেী নই আমি ! চা খাওয়া শেষ করে নায়েবমশায়ের পেয়ালা নামিয়ে রাখবার জন্য হাত বাড়িয়ে বললাম—দিন আমার হাতে। নায়েবমশায় সন্তুষ্ট হলেন আমার বিনয়ে । বললেন—না হে, তুমি বামুনের ছেলে, তোমার হাতে এটো পেয়ালাটা দেবো কেন ? নাম কি বললে যেন ? আগে যে নামটা বলেছিলাম, সেটাই বঙ্গলাম আবার । —কি, ভেবে দেখলে ? চাকরী করবে ? —মাইনে কম । আজ্ঞে ওতে— —দশ টাকা মাইনে, কম হুল হে ? যাকূগে, বারে টাকা দেব দু’ মাস পরে। এখন দশ টাকাতে ভক্তি হও । এখানে অনেক স্ববিধে আছে হে—জমিদারের কাছারি, হাটে তোলাটা-আসটা, পলিপাৰ্ব্বণে প্রজার কাছ থেকে পাৰ্ব্বণী পাবে দু' চার আনা, তা ছাড়া কাছারির রাধুনি বামুন, ইজ্জত কত ? অতিকষ্টে হাসি চেপে বললাম—আজ্ঞে, তা আর বলতে— —রাজী ? —আজ্ঞে ই্যা, একটা কথা— -कि ? —শোবো কোথায় ? নায়েব অবাক হবার দৃষ্টিতে চেয়ে বললেন—শোবে কোথায় তার মানে ? বি. র• ১১—৭