পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§§§ বিভূতি-রচনাবলী --দাবার বললে—ফুচ্চেন ? —ম ঘুমুই নি। আঙ্কন— —দেখলেন ? —খ্যা সব দেখেচি। ভাল লেগেচে । আপনার বেশ ক্ষমতা আছে । -ईT-छ्हे ! 爵 —কেমন একটা অদ্ভুত টান টানা মধুর ভঙ্গিমার স্বরে ‘ছাই কথাটা ও উচ্চারণ করলে । কি মিষ্টি স্বর। আমি ওর মুখের দিকে ক্ষণিকের জন্তে চাইলাম। চোখোচোথি হয়ে যেতেই চোখ নামিয়ে নিলাম। তখনও আমি ভদ্রলোক । কিন্তু বেশীদিন আর ভদ্ৰতা রাখতে পারলাম না। সে আমার দুর্বলতা । লম্বা গল্প করবার সময় এখন নেই। এক মাসের মধ্যে তাকে নিয়ে পথে বেঙ্কলাম । -दद्दलम कि --আর কি বলি । —তারপর ? —তারপর আর কি। তাকে নিয়ে চলে গেলাম নবদ্বীপ। পৃতিততারণ জায়গা। বহু পতিত তয়ে যাচ্চে। জলের মত পয়সা খরচ হতে লাগলো। তাকে নিয়ে উন্মত্ত, ভাব গাইতে স্বেতে মনে থাকে না— —বলুন, বলুন— আমি নিজের দলের লোক পেয়ে গিয়েছি যেন এতদিন পরে। কি মিষ্টি গল্প । আমার মনের যে অবস্থা, তাতে অন্ত গল্প ভাল লাগতো না। লাগতো এই ধরনের গল্প। আমার মন যে স্তরে আছে, তার ওপরের স্তরের কথা যে যতই বলুক, সে জিনিস আমি নেবো কোথা থেকে ? আমার মনের স্তরে ঝড়, মল্লিক ভাব ওয়ালা আমার সতীর্থ। বড় আমাকে একটা বিড়ি দিতে এলো। আমি বললাম—আমি খাই নে, ধন্যবাদ। ও বিস্ময়ের স্বরে বললে—তুমি কি রকম হে ডাক্তার ? মদ খাও না, সিগারেট খাও না, তবে এ দলে নেমেচ কেন ? না, তুমি দেখছি বড় ছেলেমানুষ। বয়েল কত ? চল্লিশ ? আমার উনপঞ্চাশ। এ পথের রস সবে বুঝতে আরম্ভ করেচ। এর পর বুঝতে পারবে । রসের আস্বাদ যে না জানে, সে মাস্থ্য নয়। রসে আবার স্তর আছে হে, এসব ক্রমে বুঝবে। এই রসই আবার বড় রসে পৌছে দেবার ক্ষমতা রাখে—আমি যে ক’বছর তাকে নিয়ে ঘুরেছিলাম, সেই ক'বছর ভাবের পদ আমার মনে আসতো যেন সমূত্রের ঢেউয়ের মত। দিন নেই, রাত নেই, সব সময় ভাবের পদ মনে আসচে, গান ৰাখছি সব সময়, আর নিয়া কি রঙীন ! সে ক’বছর কি চোখেই দেখতাম দুনিয়াকে । আকাশ এ আকাশ নয়, গাছপালা এ গাছপালা নয়—আউশ চালের ভাত আর ভিজে ভাত খেয়ে মনে হোত যেন শটীর পায়েস— o —জাহ, বেশ লাগচে। বলুন তারপর কি হল—