পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जt५ छल $$$ ধললাম—গত্যি ? —নিশ্চয়ই। কিন্তু হ্যাগে একটা কথা বলি–তুমি নিজে রোজগারের কথা ভাৰে৷ কেন ? ও কথা তোলো কেন ? তুমি বার বার ওই কথা আজ ক'দিন ধরে বলচে কেন ? তুমি কি আমাকে ছেড়ে যেতে চাও? ওর গলার স্বরে আবেগ ও উৎকণ্ঠার স্বল্পষ্ট প্রকাশ আমাকে অবাক করে দিলে। পায়। শুধু স্বন্দরী নারী নয়, অদ্ভুত ধরণের রহস্যময়ী, দয়াময়ী, প্রেমময়ী। নারীর মধ্যে এমন আমি ক'টই বা দেখেচি। আমি হেসে চুপ করে রইলাম। ও আবার বললে—স্থ্য গো, চুপ করে রইলে কেন ? বল না গো— —আমি তো বলি নি । —তবে ও রকম কথা বলচো কেন আজ ক'দিন থেকে ? পান্না কুমড়ো কুটচে দা দিয়ে । যেখানে যা লোকে দেয়, এখানে কেউ বঁটি দেয় নি ওকে। আমি সেদিকে চাইতেই ও হেসে ফেললে। বললে—কি করি বলো— —বাসার বঁটিখানা সঙ্গে করে আনলে না কেন ? —স্থ্য, একটা ঘর-সংসার আনি সঙ্গে। ফাকি দিলে চলবে না বলে, আমি কি তোমাকে কষ্টে রেখেছি ? মুখে রাখতে পারচি নে ? হুঁ্য গা, সত্যি করে বলে । আমি আরও পয়সা রোজগারের চেষ্টা করবো । —তুমি তা ভাবে কেন পান্না ? আমিও তো এ ভাবতে পারি আমার রোজগারে তোমাকে স্বধী রাখবো ? —কেন তা তুমি করতে যাবে ? আমি কি সাতপাকের বেী তোমার ? —তার মানে ? —সেখানে তোমাকে সংসার ঘাড়ে নিতেই হবে। এখানে তা নয়। এখানে আমি করবো। তুমি ও সব নিয়ে মাথা ঘামিও না লক্ষ্মীটি। বোলে যখন যা দরকার, আমি চেষ্ট৷ করবো যুগিয়ে দিতে। আমার মাসিক আয় কত বলে দিকি ? আশি নব্বই কি এক শো টাকা। ছটো প্রাণীর রাজার হালে চলে যাবে। নীলি কত পায় জানো ? আমার সঙ্গে তো খাটতো। আমার আদ্ধেক রোজগার ওর । মুজরোর বায়নার আন্ধেক, আসরের প্যালা যে স্বী পাবে, ওর ভাগ নেই। আমার প্যালা বেশী, ও বিশেষ পেতো না । কিন্তু কলকাতা শহরে ওরা দুই বোন বুড়ো মা-চালাচ্চে তো এক রকম ভালোই। আমাকে বলে, তোমার এত রোজগার তুমি গহন করলে না দু’খানা। আমি বলি আমার গহনাতে লোভ নেই, তোর করগে যা। নাচটা আরো ভালো করে শেখবার ইচ্ছে। ভাল পশ্চিমে বাইজীর কাছে সাকরেী করতে ইচ্ছে হয়। গহনা-টহনার খেয়াল নেই আমার। তুমি ভেবে না, তোমাকে স্বখে রেখে দেবো ।