পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मॅच्छाडिं نذباذ গদাধর এ-কথার উত্তর দিলেন না । সংসার হঠাৎ তাহার কাছে নিতান্ত বিস্বাদ মনে হইল। অনঙ্গ আধ-ময়লা একখানা শাড়ী পরিয়া আছে, মাথার চুল এখনও বাধে নাই, কেমন যেন আগোছালো ভাব—তাছাড়া ওর মুখ দেখিলেই মনে হয়, এই বয়সে বুড়ী হইয়া পড়িয়াছে যেন ! কিসের জন্য তিনি এসব করিয়া মরিতেছেন ? কাহার জন্ত পাটের দালালি আর দুপুরের রোদে-রোদে মোকামে-মোকামে ঘুরিয়া পাটের কেনা-বেচা । সত্যিকার জীবনের আমোদ কি তিনি একদিনও পাইয়াছেন ? পুরুষমানুষের মন যা চায় নারীর কাছে—অনঙ্গ কেন, কোনো মেয়ের কাছেই কি এতদিন তা পাইয়াছেন ? জীবনে তিনি কি দেখিলেন, কি-ব পাইলেন ! এই কলতলায় এটাে বাসনের স্তুপ, ওই আধময়লা ভিজে-কাপড়ের রাশি, ওই কয়ল-কাঠের গাদা, আলু-বেগুনের চুবড়িটা—এই সংসার । এই জীবন ? ইহাই তিনি চিরকাল দেখিবেন ও জানিবেন ? শচীনকে গ্রামের লোকে নিন্দ করে, কিন্তু শচীন তাহার চেয়ে ভালো। সে জীবনকে ভোগ করিয়াছে। তিনি কি করিয়াছেন ? কিছুই করেন নাই ! অনঙ্গ বলিল—বড় ঠাণ্ডা পড়েচে, আজ আর কোথাও বেরিও না সন্ধ্যের পর । —সন্ধ্যের এখন অনেক দেরি । আড়তের কাজ মেটে নি, সেখানে যেতে হবে এখুনি । —কখন আসবে ? —ত কি ক’রে বলি ? কাজ মিটে গেলেই আলৰে। —ভড়মশায় কি রাত্রে এখানে খাবেন ? —কেন, সে খাচ্চে কোথায় ? ওবেলা আসে নি ? —আজ ছুদিন তো আসেন না । একটু জিগ্যেস কোরো তো। ছুদিন তাত রান্না রইলো, অথচ লোক এলো না! আর তুমিও দেরি কোরো না। কথা শেষ করিয়াই অনঙ্গ আসিয়া স্বামীর হাত ধরিয়া বলিল—সত্যি, আমার ওপর তুমি রাগ করে নি? আজ তুমি সকাল-সকাল এসো। গায়ে গেলে, কি-রকম দেখলে না-দেখলে কিছুই শুনি নি। শুনবো-এখন। .এসে সকাল-সকাল—কেমন তো ? গদাধর আড়তে যাইবার পথে ভাবিলেন—কি বিশ্ৰী জীবন! একঘেয়ে হইয়া উঠিয়াছে। আর ভালো লাগে না এ | সেই রাত্রেই সন্ধ্যার পরে গদাধর শোভারাণীর বাড়ীর দরজায় কড়া নাড়িলেন। চাকর আসিয়া বলিল—কে ? —মিস মিত্র আছেন ? —মাইজি স্টুডিও থেকে ফেরেননি। -ङ्क्षन षोंग्रन ? —জাজ সকাল-সকাল জাসবেন ৰ'লে গিয়েচেন-এই আটটা---