পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રં૭8 विङ्कडि-ब्रक्रमांबजौ রোজ উার ঘরটিতে নিজে চাবি দিয়ে বেরিয়ে যান এবং এসে আবার খোলেন । পুত্রবধূকে বিশ্বাস করার পাত্র নন তিনি। কোন মেয়েমানুষকেই বিশ্বাস নেই। —ও বৌমা—বেীমা, ওপরে এস— R —কে ? বাবা ? -७५्वंiद् ७ुi८द् ॥ंश्च । 鬱 পুত্রবধূ ওপরে গিয়ে দেখে শ্বশুর পুটলি খুলে কি সব খাবার জিনিস এন্ত ভাবে হাড়ির মধ্যে পুরছেন। পুত্রবধুকে দেখে তাড়াতাড়ি তিনি ছাড়িটার দিকে পেছন ফিরে বলে বললেন—বেীমা ? ইয়ে কর তো—আমার ঘরে একটা আলো জেলে দিয়ে যাও। —আপনি রাতে কি খাবেন ? ভাত রাধব ? --না। তুমি শুধু খাবার জল একষটি দিয়ে যেও এর পরে। এ সংসারে বৃদ্ধ শ্বশুরের জন্য পুত্রবধূর রাধবার নিয়ম নেই। যার যার, তার তার। ছেলে যখন আসে, বাপের খোজ নেয় না। ওরা নিজে রাধে, নিজেরা খায় । উপেন ভটচাজ এসে নিজের ঘরের তালা খুলে বড় জোর একটু জল কোনদিন একটু জন চান পুত্রবধুর কাছে। এর বেশি তার কিছু চাইবার থাকে না, কেউ তাকে দেয়ও না। আজ পুত্রবধূর তার জন্তে রান্না করার প্রস্তাবে তিনি খানিকটা বিস্মিত না হয়ে পারেন নি মনে মনে। বোধ হয় সেইজন্তে পুত্রবধূর প্রতি র্তার মনোভাব হঠাৎ বড় দরাজ হয়ে গেল। তার ফলে যখন আবার সে জলের ঘটি নিয়ে চুকল, তখন তিনি হাড়িটা সামনে নিয়ে বললেন—দাড়াও বৌম। করুণাকে দিইছি—আর তুমি এই দুখান লুচি আর এই একটু মিষ্টি নিয়ে যাও । জল খেও। পুত্রবধু দুই হাত পেতে শ্বশুরের দেওয়া আধখান ক্ষীরের ছাচ, খানচারেক লুচি, আধখানা ছানার মালপুর ও ছুটি তালের বড়া নিয়ে একটু অবাক হয়েই দাড়িয়ে রইল। শ্বশুর হঠাৎ কেন এত সদয় হয়ে উঠলেন তার ওপরে ? না খেয়ে থাকলেও তো কখনও পোছেন না লেখাচ্ছে না উপোস করছে। সে বললে—আমি যাই বাবা ? --হুঁ্যা যাও । পান আছে ? g --না তো বাবা। এ হাটে আমার হাতে পয়লা ছিল না। . করুণার পাঠশালার মাইনে চার জানা বাকি। তাগাদ করছে মাস্টার । তাও দিতে পারছি নে । পুত্রবধূর নাম তারা ! গল্পীৰ ঘরের মেয়ে না হলে আর এমন সংসারে বিয়ে হৰে কেন ? লিচে নেমে এসে সে ছেলেকে ডেকে স্থখানা লুচি আর মিষ্টিগুলো সব খেতে দিলে । মিজের জন্তে রাখলে ছুখামা লুচি আর ছুটে তালের বড়। ছেলেকে তালের বড় খেতে দিলে ওর পেট কামড়াবে রাতে । - সত্যি, তার হাতে পয়সা না থাকায় কোনদিনই রাতে সে কিছু খায় না। করুণার জeে ছবেলার চাল মেওয়া হয় ওবেলা, জল দেওয়া ভাত গজ্যের পিদিম জালিয়েই কক্ষণাকে খেতে