পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6छाछित्रिण ३७१. বাজত। এসেই ঠাকুরদাদার ঘরে ঢুকে জিজ্ঞেস করতেন—বাব, শরীর ভাল আছে ? এদিকে ঠাকুরদাদাও সারা দিনের যত অভাব-অভিযোগের কাহিনী জমিয়ে রাখতেন ছেলের সামনে পেশ করবার জন্যে সেই সময় । —আর বাবা, শরীর ভাল! একটু তামাক, তা কেউ দেয় না। টিকে ভিজে, আগুনও ধরল না । আজ এমন মশা কামড়াতে লাগল দুপুর বেল, মশারিটা কেউ টাঙিয়েই দিলে না— এই দ্যাখ না পিঠটা— তার পর কাদ-কাদ স্বরে বললেন—তুই একটু হাত বুলিয়ে দে হরিশ— বাবা বসে বসে হাত বুলিয়ে দিতে থাকেন। —তুই বাড়ি না থাকলে আমাকে সবাই অগ্রাহি করে । এক ঘটি জল চাইলে সময়মত স্থায় না বাবা । —সত্যি তো ! আহা ! আমি সব বলে ঠিক করে দেব এখন । —দিম । ভাল করে বলে দিয়ে যাস তো । —দেব | —তোর খাওয়া হয়েছে ? —না বাবা, এই তো এলাম । —যা তুই, হাত-পা ধুয়ে জল-টল থা—তোকে পেট ভরে খেতে দিচ্ছে তো ? —হঁ্যা বাবা । —দেখি সরে আয় তো। একটু মোটা-সোটা হলি, ন সেই রকম আছিল? জানিস, ছেলেবেলায় তোর শরীর ছিল এমনি রোগা । তোর গর্ভধারিণী একদিন বললে, খোকার জন্যে ছাগলের দুধের ব্যবস্থা কর। তখন মেহেরপুরে নীলকুঠিতে কাজ করি। সেইখানেই তোর জন্ম, জানিস তো? হ্যা মেহেরপুরের—ইয়ে—ঐ কি বলছিলাম ভুলে গেলাম—আজকাল কিছু মনেও থাকে না— —ছাগলের জুধ ! —হঁ্যা ছাগলের দুধ আনতে ੀਂ গর্ভধারিণী। সাহেবের একটা বড় ছাগল ছিল। মালীর সঙ্গে বড় করে ফেললাম, মাসে ছটাকা করে দেব—আর সে আধ সের করে ছাগলের জুধ আমায় দেবে— বাবা ওঠেন না সেখান থেকে, যতক্ষণ ঠাকুরদাদা একটু শাস্তু না হন । ভাত খেয়ে বাবার সঙ্গে গল্প করে ঠাকুরদাদা খুলী মনে বলেন—তা হলে তুই এখন যা হরিশ, খেয়ে নিগে—দুধ পাচ্ছিল তো ? —ই্যা বাবা । —ভাল করে দুধ খাবি। দুধেই বল । —না বাবা, দুধ ঠিক খাচ্ছি। - বাবা চলে গেলেন। যাবার আগে ঠাকুরদাদাকে বিছানায় গুইয়ে নিজের হাতে একটা