পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీశ్రీt> বিভূতি-রচনাবলী তার ছোট বোন নমিতা বল্লে—কেন, "উমার প্রেম’ ? —“উমার প্রেম’ তো আগেকার । আমি আনকোরা ছবির কথা বলচি— —ত যদি বলতে হয় দিদি, তবে মীরা সরকার আর আরতি দাস যে ছবিতে নামে, সে ছবির চেহারাই হল আলাদা— —আর জহর গাজুলী ? —সে তো আছেই। আর একজনের কথা বলি ৷ ‘দুঃখীর ইমান ছবির মধ্যে— জুলালের জ্যাঠাইম বল্পেন—বাদ দে ওসব তক্‌কো যা এখান থেকে । ওদিকে স্বভুমডু করা হয় এখানে আসবার জন্তে, আবার এদিকে ছবি হয়ে গেল, ছবি হয়ে গেল । হয়ে গেল তা কি হবে ? চল সব কলকাতায় । এখানে বর্ষাকালে মানুষ টেকে ! দুলাল কিন্তু বলে উঠলো—জ্যাঠিম, তোমার ভালো লাগচে না কেন জানিনে। আমার কিন্তু যাবার ইচ্ছে নেই। জ্যাঠাইমা অপ্রসন্নমুখে বল্পেন—কি জানি বাপু, তোমাদের সব ইংরেজী মেজাজ। আমরা সেকেলে লোক, আমাদের পক্ষে শহরই ভালো | তোমরা থাকো তোমাদের দেশ নিয়ে । কমলা বল্লে—দুলালদা, আমাকেও রেখে এসো । —সবস্থদ্ধ চলো রবিবারে ঝেড়ে রেখে আসি । নমিতা বল্লে—আমাকেও ? বাবা শুনলে বকবেন । তা আমার মন খারাপ হবে না ? মনের ওপর জোর নেই। দুলাল বল্লে—চলো রেখে আসবো বলচি তো । কিন্তু জাঠতুতো ভাই বিমল ছিল তার মা-ভগ্নীদের চেয়ে একেবারে আলাদা । সে বিকেলে জলবৃষ্টির মুঘলধারার বর্ষণের মধ্যে এসে বল্লে—চলো দুলালদী— —কোথায় ? —মাছ ধরতে | —তুই যাবি নাকি ? —আলবৎ যাবো । চলো বেরিয়ে পড়ি, ভাবনহাটির পদ্মবিলে মাছ উঠচে । —বিলে তো মাছ থাকেই— —বেনে জেলে এইমাত্র ছুটলো । হাতে রয়েছে—কি যে বৃলে ঐ—ঐ— —পোলো ? —হঁ্যা হ্যা, পোলো পোলো। ওই কথাটা ওরাও বলছিল বটে। পোলে। —ও দিয়ে মাছ ধরা তোমার-আমার সাধ্যি নেই। দুলাল ও বিমল ছুটলো। ওরা কলকাতার ছেলে । মাছ ধরা দেখা একটা নতুন জিনিল ওদের কাছে । তখনও ঝমূকম বৃষ্টির পড়ছে। ধারHশ্রাবণ বৃষ্টির বিরাম বিশ্রাম নেই। বিমল বললে—রাস্ত চেনো দুলালদী ?