পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুশল পাহাড়ী סילט তাও পরের হাতে "হারাধনকে নিয়ে পথে পথে বেড়াতে হবে শেধে । আমরা ঘুঘু ব্যবসাদার, আমার কথা শোনো । সন্ধ্যাবেল প্রতুল এসে বল্লে—টাকার কদর খুড়ীমা ? রাম চাটুয্যের স্ত্রী বল্লেন–টাকার যোগাড় তো হয়েছে । কিন্তু সকলে যে বড় ভয় দেখাচ্ছে প্রতুল ! —কোনো ভয় নেই খুড়ীম। আপনি টাকা দিয়ে দিন আমার হাতে । দেখুন দুটো মাসে আমি কি করি । —বেশ দ্যাথো। আমি কারে কথা শুনলাম না। তুমি যা হয় কোরো। তবে তুমি কিছু মনে কোরো না, আমার ছেলে এ কাজ করতে গেলেও তাকে আমি ঠিক এমনি কথাই বলতাম । যাও, মা মনসার পুজো দেবো ভবানীচকের বাজারে । মুখ তুলে চান যদি ! —একটা ভালো দিন দেখে সত্যনারায়ণের পূজে দিন খুড়ীমা । সেদিন থেকে কাজ আরম্ভ করবো | দত্ত বুড়োকে নেমস্তন্ন করবেন। সত্যনারায়ণের সিন্নিতে গ্রামমৃদ্ধ লোকে রাম চাটুয্যের বাড়ী দুখানা লুচি, নানা রকম কাটা ফল, র্কাচ সিন্নি, সন্দেশ ও রসগোল্লা খেয়ে গেল । কেউ বল্পে, গিল্পীর মন খুব ভালো । কেউ বল্লে, পরের হাতে খেলছে, এইবার পথে বসবে আর কি ৷ নতুন বাসের লাইন খুললো । প্রতুল নিজে বসে চড়ে চাকদা থেকে বনগা পৰ্য্যন্ত গেল। মুখে ভেঁপু দিয়ে একটি ছোকর। চাংকার করতে করতে চলল—নতুন লাইন খুলেচে । চাকদা থেকে বনগা! ভাড়া দশ আন৷ BBBB BBB S BB BBS BBBS BBBS BB BBBB BBS BBB BBB S চকদা থেকে কলকাতার ট্রেন ধরিয়ে দেওয়া হবে । তরকারির ভেণ্ডারদের অত্যন্ত স্নবিধে ক’রে দেওয়া হচ্ছে— মাত্র সাতজন হল প্রথম দিন । সপ্তাহের শেষে উঠলো বাইশ জন । হরিপদ বল্লে—অতগুলো টাকা শেষে জলাঞ্জলি না যায়। একজন ভেণ্ডারও তো হল না । প্রতুল বল্লে—হরিপদদ, বেলের হাটের দিন আমরা আর বনগা পৰ্য্যন্ত যাবে না। শুধু তরকারির বাজার তুলবো—এদিকে চাকদ, ওদিকে রাণাঘাট । —রাণাঘাট গেলে পুলিশ ধরবে ও রুটের লাইসেন্স তোমার কই ? —সে তুমি ভেবো না দাদ। তোমার বাপ-মার আশীর্বাদে চালিয়ে নেবো । সত্যিই হরিপদ ঠিক বলেছিল । পুলিশ ধরলে, থানায় নিয়ে গেল, প্রতুলের কোনো কথা শুনলে না, কেস কোর্টে দেবার জন্যে তৈরি হল । ওদের দুজনকে একরাত্রি থানায় হাজতে বাস করতে হল। প্রতুল রাত্রে ঘুম ভেঙে উঠে বল্লে—বডড মশা, হরিপদদা— —তোমার কথা শুনে এ কি নাকাল আমার ! জীবনে কখনো হাজত-বাস করি নি । —বিনা লাইসেন্সে গাড়ী চালিয়েছি তা হাজত-বাস করতে হবে কেন ? আমরা চুরি - করি নি তো ।