পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুশল পাহাড়ী ένε —কি করবে তবে ? —আমাকে আরো দু'হাজার টাকা দিতে হবে খুড়ীমা । —সে কি কথা বাবা ? —হঁ্যা, আমাকে দিতেই হবে । আমার মতলব শুকুন। ও রাস্ত আমি মোটর কোম্পানীর পক্ষ থেকে তৈরী করে নেবো । দু'হাজার আমরা দেবে, ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড আর রোড বোর্ড থেকে কিছু বার করবো। বাস ও-রাস্তাতে চালাবোই । —তা তো বুঝলাম, টাকা দেবো কোথা থেকে ? —তাও আমি ভেবেছি। অন্য লাইনের বাস মর্টগেজ রাখতে হবে । তাহলে টাকা সবাই দেবে। নয় তো রুট সার্ভিস মটগেজ করা যেতে পারে—যতদিল দেন শোধ না হয়, তাদের নিজের লোক থাকবে আমাদের গাড়ীতে বসে। ক্যাশ নেবে নিজের হাতে । তারও লোক আছে—আপনার হুকুম পেলেই আনি । —যা ভালো বোঝে করে বাবা, তবে দেখো, হারাধন তোমার ছোট ভাই, সে যেন পথে না বসে । এত সহজে কিন্তু কাজ মেটে নি । এই কথা কি ভাবে গায়ের মধ্যে প্রচার হবার সঙ্গে সঙ্গে রাম চাটুয্যের স্ত্রীর কাছে বড় বড় বাড়ী থেকে মেয়ে, গিন্নি, কৰ্ত্তারা উপদেশ দিতে আসতে যেতে লাগলেন । কানাই দত্ত বল্লে— চোখের ওপর এ কি সৰ্ব্বনাশ করছে বৌদিদি ? ছেলেটা তো পথে বসেছে, আর বাকি কি আছে ? আমার কথা শোনো, ও ছোড়াটাকে দাও হাকিয়ে বিদায় করে। তুমি না পারে। আমি দিচ্ছি। - অনেক কিছু ব্যাপার হয়ে গেল। অনেক কথা কাটাকাটি, এমন কি ঝগড়া পৰ্য্যন্ত । তবুও প্রতুল দমল না। হারাধনকে ডেকে বল্লে, তোমার মাকে বোঝাও হারাধন । তুমি পুরুষ মানুষ, তুমি বুঝবে। মেয়েছেলেকে বোঝানো এক মস্ত দায়, রাস্ত বানাতেই হবে আমাদের । মাসখানেক চাকূদা-বনগা সার্ভিস একদম বন্ধ রইল এই সব নানা গোলমালে । শেষ পর্য্যন্ত প্রতুল জিতে গেল। ছ হাজার টাক তার হাতে তুলে দিলেন রাম চাটুয্যের স্ত্রী। চোখের জল দুফোটা পড়লো টাকা দেবার সময় । প্রতুল রোড-বোর্ডের দু’একজন হোমরা-চোমরার কাছে চিঠি নিয়ে গিয়ে তাদের ধরলে । র্তারা বললেন—ও রাস্তা মার্চ থেকে পি. ডব্লউ. ডি-র হাতে যাবে। তারাই দেবে। আমাদের কি স্বার্থ আছে ওতে ? জেলা বোর্ডও সেই উত্তর দিল । নদীয়া জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে খুব বেশি করে ধরতে তিনি বল্পেন—তুমি একলা মুভ করলে কিছু হবে না। ঐ অঞ্চলের স্কুলের ছাত্র ও তাদের অভিভাবক এবং সাধারণ অধিবাসীদের সইওয়ালা এক দরখাস্ত দাও বোর্ডে । দেখি কি করতে পারি। অনেক জল বেড়াবেড়ির পরে মাস-খানেক ধ’রে অক্লাস্ত পরিশ্রম ও চেষ্টার ফলে নদীক্ষা বি. 弧。 : -4 هس