পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৪৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कूर्थल श्रीशंसौँ 88 e —গাড়ী নতুন কিনলে ? —হা । পুরনো অস্টিনখান বেচে নতুন মডেলের নিলাম। —মদ খাও নাকি ? সতীশ তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বল্লে—ও তো গায়ের ব্যথা মারতে। যে খাটুনি খাটি, সন্দে বেলাটা একটুখানি না খেলে বাঁচবো কি করে ? এদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই। ইনি হচ্চেন বাবু কৃষ্ণপদ কুণ্ডু, হাটখোলায় গদি আছে, মস্ত বড়লোক। আর এর নাম কুমুদ্রবন্ধু সরকার, হাওড়ায় রাইস মিল আছে—বড় ধনী ওখানকার—সাতখানা বাড়ী গঙ্গার এপারে— বন্ধুটি বিনয়ের সঙ্গে বল্লে—না, না, শুনবেন না। ধনী না ইয়ে, ওসব বাদ দাও সতীশ । অন্য কথা পাড়ো । —ব্রিজ খেলতে জানো রামলাল ? —না সতীশদ । —চা চলবে ? তোমার তো এসব চলবে না । —চাও থাবো না । খেয়ে এলাম। তোমরা বোসে, আমি উঠি । আমি সেখান থেকে সরে পড়লাম, কারণ সে সময় বাড়ীর মধ্যে থেকে চাকরে ডিশভৰ্ত্তি খাবার নিয়ে এলো ওদের জন্যে । তার পরদিন দেখি সতীশ নদীতে নৌকো করে বন্ধুদের নিয়ে বন্দুক হাতে পাখী-শিকারে বেরিয়েচে । সে যে বাড়ীতে বসে মদ খায়, এতে গ্রামের লোকে দেখলাম দোষ ধরে না । বড়লোক তো খাবেই, ওদের সব শোভা পায়, ভাবটা এই রকম। সতীশ পাখী-শিকার করে, বারোয়ারীর চাদ দিয়ে, ক্যামের নিয়ে ছবি তুলে, গ্রাম গুলজার করে তার ঝকঝকে নতুন মডেলের অস্টিন হাকিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে খুব আমোদ করে বেড়ালে এই পাচ ছ দিন । ছ’টা দিনে ছ'-বছরের ফুৰ্ত্তি ওড়ালে। আমাকে বল্লে—একদিন যেও হে রামলাল, আমাদের কলকাতার বাড়ীতে । —কবে যাবো সতীশদা ? সাতদিনের ছুটিতে এসেছি, আবার চলে যাবো । তুমি ক'দিন আছ ? o —আছি কই ? একটা থিয়েটার খুলবো ভাবচি। তা নিয়ে বড় ব্যস্ত। অ্যাক্টর অ্যাকূট্রেস ঠিক করতে হবে। অনেক কাজ। —নতুন খুলবে ? —ই ভাই। আর্ট থিয়েটার। একেবারে নতুন জিনিস। হয় যদি তবে একটা নতুন জিনিস হবে। ঝাল হলুদ নিয়ে আর ভালো লাগে না। এবার অন্য পথ ধরবো। —আগের ব্যবসা একেবারে ছেড়ে দেবে ? —না । সেও থাকবে। বিখ্যাত অ্যাক্টর শরৎবাবুর নাম শুনেচ ? তিনি হোলেন আমার এই বন্ধু কুমুদের শালা। কুমুদকে দিয়েই তাকে নামাবো আমার থিয়েটারে। —তোমাদের সেই মাদ্রাজী মহাজন আছে ?