পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (কায়স্থ কাণ্ড, ষষ্ঠাংশ, দক্ষিণরাঢ়ীয় কায়স্থ কাণ্ড, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

었 বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস [ প্রথম অধ্যায়। প্রভাবে গোড়বঙ্গের নানাস্থানে বেদবিরোধী জৈন বা বৌদ্ধমতে জনসাধারণে অনুরক্ত হইয়াছিল। আমাদের মনে হয় ২৩শ তীর্থঙ্কর পাশ্বনাথস্বামীর সময়ে প্রায় দুই হাজার সাতশত বর্ষ পূৰ্ব্ব হইতেই এখানে কায়স্থ সংস্রব ঘটয়াছিল। অতঃপর ক্রমশঃই তাহার প্রভাব বিস্তার করিতেছিলেন এবং অনেকে অবৈদিক যাতুর্যাম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছিলেন। জৈনদিগের কল্প স্বত্র-বিবরণ পাঠে জানা যায় এরূপ কোন কায়স্থের গৃহে শেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর স্বামী পরিণ করিয়াছিলেন। যিনি বেদবিরুদ্ধ অহিংসা ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন, তিনি কখনই বৈদিক কৰ্ম্মামুরাগীর গৃহে আহার করিতেন না ; বিশেষতঃ যে কায়ন্থের ঘরে মহাবীর স্বামী পারণ করিয়াছিলেন, তিনি ষে তাহার ভক্ত ও মতামুবৰ্ত্তী ছিলেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। অন্তর দেখাইয়াছি—মহাবীরস্বামীর মোক্ষলাভের পর তাহার শিষ্যপরম্পরা প্রাচ্য ভারতে জৈন ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন। তাহার ফলে নন্দ-রাজমন্ত্রী জৈন ধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন। নন্দরাজমন্ত্রী শকটালের পুত্র জৈনাচাৰ্য্য স্থলভদ্রের নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য । জৈনদিগের শেষ শ্রুতকেবলী সমাট চন্দ্র গুপ্তের গুরু ভদ্রবাহুরও ঐ সময়ে অভু্যদয় । এই ভদ্রবাহুর শিষ্য কাশুপ গোত্রীয় গোদাস হইতে তাম্রলিপ্তিক, কোটীবর্ষীয়, পুণ্ডবৰ্দ্ধনীয় ও দাসী কৰ্বটীয় এই চারিশাখার উৎপত্তি হইয়াছিল।” ইহাতে মনে হয় সমস্ত গৌড়বঙ্গেই জৈনপ্রভাব বিস্তৃত হইয়াছিল । বলা বাহুল্য তন্মধ্যে বহু কায়স্থ ছিলেন । বগুড়া জেলার পাহাড়পুর হইতে অষ্টম শতাব্দীর জৈন ত}মশাসন পাওয়া গিয়াছে । চন্দ্রগুপ্ত অন্তিম কালে ভদ্রবাহুর শিষ্য হইয়া জৈনধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। অনেকে মনে করেন, সম্রাট অশোকও প্রথমে জৈনধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন, শেষে তিনি বুদ্ধদেবের মতামুসরণ করিয়া তাহার সাম্রাজ্যের নানীস্থানে ধৰ্ম্মরাজিক স্থাপন ও অনুশাসন লিপি প্রচার করেন । আড়াই হাজার বর্ষ পূৰ্ব্বেও এখানে সন্ত্রাস্ত কায়স্থের বাস ছিল, তাহারাই গৌড় কায়স্থ । খৃষ্টজন্মের প্রায় ৫৭৭ বর্ষ পূৰ্ব্বে জৈনদিগের শেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর স্বামী সিদ্ধিলাভ করিয়া এরূপ কায়স্থের ঘরে আসিয়া পারণ করেন । মনে হয় তখন বা তৎপূৰ্ব্বে হইতেই এখানকার কায়স্থগণ আবৈদিক জৈন-মতানুরাগী ছিলেন । নন্দবংশ ও মৌর্য্যবংশের সময়েও জৈন প্রভাবের পরিচয় পাই । মৌর্য্যসম্রাট অশোক এক সময়ে জৈনপ্রিয় ও পরিশেষে বৌদ্ধধৰ্ম্মামুরাগী হইয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে ব্রাহ্মণ ভিন্ন ব্রাহ্মণসমাজের বিচার অপরে করিতে পারিত না। ব্রাহ্মণকে দও দিবার অপর কাহারও অধিকার ছিল না! কিন্তু সম্রাট অশোক সকল বর্ণকে সমভাবে দেখিবার জন্ত ব্যবহারসমতা ও দণ্ডসমত ঘোষণা করেন। র্তাহার ধৰ্ম্মলিপি হইতে জান। যায় যে র্তাহার অভিষেকে ২৬ বর্ষে তিনি রাজুক বা কায়স্থগণের উপর সম্পূর্ণ শাসনকর্তৃত্ব (७) ब्राख्नjकt७, ७० श्रृं81 जठेव) ।