পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারিক (ইংরাজী Barrack) ১ সৈন্তাবাস। ২ বছলোকের আবাসস্থান । বারিকপুর ( বারাকপুর দেখ। ] ধারিগুর, মধ্যভারতের রেবা নামৰ সামন্তরাজ্যের অন্তর্গত ५य्रौ नश्रद्म । খারিয়া, গুজরাত প্রদেশের রেবাকাঙ্কর অধীন একটা করদ রাজ্য। ভূ-পরিমাণ ৮১৩ বর্গমাইল । রদ্ধিকপুর, দুধিয়া, উমারিয়া, হাবেলী, কাকদখিলা, শাগতালা ও রাজগড় প্রভৃডি ৭টা ইহার উপবিভাগ। এই রাজ্যের অধিকাংশ স্থান বনচ্ছিাদিত । © এখানকার সর্দারগণ চৌহানবংশীয় রাজপুত। ১২৪৪ খৃষ্টাব্দে র্তাহারা মুসলমান কর্তৃক বিতাড়িত হইয়া চম্পানের নগর ও দুর্গ অধিকার করেন। ১৪৮৪ খৃষ্টাবো মহম্মদ বেগারী কর্তৃক পরাজিত হওয়া পৰ্য্যস্ত তাহার এখানে রাজত্ব করিতেছিলেন। ক্রমে এই রাজবংশ ছুইটী ঘরে বিভক্ত হইয়াছেন। একঘর ছোট উদয়পুরে ও অপর ঘর বারিয়ায় থাকেন। ১৮০৩ খৃষ্টাব্দ হইতে এই রাজবংশের সহিত ইংরাজের মিত্রতা স্থাপিত হয়। ঐ সময়ে এখানকার সর্দার বারিয়া ভালসৈন্থ লইয়া শিলো-সৈন্তের বিরুদ্ধে ইংরাজের সহায়তা করেন। এখানকার সর্দারগণ দেওগড় বারিয়ার মহারাবল নামে প্রসিদ্ধ। ইংরাজরাজকে সর্দার বাৎসরিক ৯৩৩০ টাকা কর দিয়া থাকেন। ইহাদের সৈন্তসংখ্যা ২৫৯ জন। ইংরাজের নিকট ইহার ৯টা সন্মানস্থচক তোপ পাইয়া থাকেন। ২ উক্ত রাজ্যের রাজধানী। অক্ষা” ২২° ৪৪' উঃ এবং দ্রাঘি” ৭৩ ৫৬৩. পুং । ইংরাজকৰ্ম্মচারীর অভিমত না লইয়া তিনি হত্যাপরাধীকে দণ্ড দিতে পারেন। বারিদোয়াব, পঞ্জাব প্রদেশের অন্তর্গত একটা অন্তবেী। हैद्र!বতী ও শতদ্রসহ বিপাশা নদীদ্বয়ের মধ্যবৰ্ত্তী স্থান। গুরুদাসপুর, মমৃতসর, লাহোর, মণ্টগোমারি ও মুলতান জেলা ইহার অন্তভূক্ত। সিন্ধু-পঞ্জাব ও দিল্লীর রেলপথ এখানে বিস্তৃত। বারিদোয়াবখাল, উক্ত অস্তবেণীর মধ্যে জলপ্রবাহের জন্ত একটা কাটাখাল। গুরুদাসপুর, অমৃতসর ও লাহোর জেলা পৰ্য্যস্ত বিস্তৃত। সম্রাটু শাহজছানের খ্যাতনামা ইঞ্জিনিয়ার মালীমৰ্দ্দন খ। ১৬৩৩ খৃষ্টাব্দে যে হসলি থলি কাটাইয়া যান, ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দে ঐ খালের কলেবর বৃদ্ধি করিবার জন্ত লর্ড নেপিযার উহার কার্য্যারম্ভ করেন। ১৮৪৯-৫০ খৃষ্টান্স হইতে ১৮৫৯-৬• খৃষ্টাব্দের মধ্যে এই কাৰ্য্য সমাধা হয়। মূলখাল ও শাখাখাল লইয়। ইহার পরিমাণ ৩৮৮ বর্গমাইল । রাজবহা বা ক্ষুদ্র জুলি লইলে উহার পরিমাণ আরও ৮৬২ भाहेल ८दनै XII Tহইবে প্রান্ননতন্ত্রকার জমি এছৰাল আর জলসিক হইয়া থাকে । বরিস্ (আরবী) ওয়ারি উত্তরাধিকারী। বারুই, বাঙ্গাল ও বেহারবাসী নিয়শ্রেণীর জাতিবিশেষ। ইহার বারই, বরজী, বারজীবী ও লতাবৈদ্ধ নামে অভিহিত । পাণের চাষ ইহাদের জাতীয় ব্যবসা । ইহারা পাণের চাষ দেয় বটে ; কিন্তু বাজারে তাম্বলীদিগের ষ্ঠায় খুচরা বিক্রয় করে না। কোথাও কোথাও তাম্বলীদিগকেও পাণের চাষ দিতে দেখা গিয়াছে। জাতীয় ব্যবসা এক হইলেও বিহার ও বাঙ্গালীর বারুই জাতি সম্পূর্ণরূপে পৃথক । ইহার একত্র আহার ও পরম্পরের সহিত পুত্রকন্যার মাদান প্রদান করে না । বাঙ্গালার বারুইদিগের উৎপত্তি সম্বন্ধে অনেক প্রবাদ প্রচলিত আছে। ইহারা বলে যে, দেবপুজোপকরণে পাণের আবখকত দেখিয়া পদ্মষোনি ব্রহ্মা তাহাঙ্গের সৃষ্টি করেন। জাতিমালায় লিখিত আছে যে, গোয়ালার ঔরসে তাতি-রমণীর গর্ভে ইহাদের জন্ম। বৃহদ্ধৰ্ম্মপুরাণে ব্রাহ্মণের ঔরসে শূদ্রাণীর গর্তে ইহাদের উৎপত্তিকথা লিখিত হইয়াছে । মতাস্তরে প্রকাশ যে ক্ষত্রিয় বা কায়ন্থের ঔরসে শূদ্রাণীর গর্তে এই জাতি উৎপন্ন । সাধারণতঃ ইহার রাঢ়ী, বারেঞ্জ, নাথান ও কোটা নামক চারিভাগে বিভক্ত। অলম্যান, বাৎস্ত, ভরদ্বাজ, চন্দ্রমহর্ষি, গৌতম, জৈমিনি, কংমহর্ষি, কাশুপ, মধুকুল্য (মোগল" ), শাণ্ডিল্য, বিষ্ণু, মহর্ষি ও ব্যাস নামে কএকটা গোত্র ইহাদের মধ্যে প্রচলিত আছে। এইগুলি উচ্চশ্রেণীর হিন্দুদিগের অমুকরণ মাত্র । গোত্র ধরিয়া ইহাদের বিবাহ নিম্পন্ন হয় না । সগোত্রে বিবাহও চলে ; কিন্তু সমানোদক হইলে বিবাহ ঘটে না । ইহাদেব মধ্যে বালিকাবিবাহ প্রচলিত দেখা যায়। বিধবাবিবাহ নিষিদ্ধ। স্ত্রী বন্ধ্যা হইলে অপর স্ত্রী গ্রহণ করিতে বাধা নাই। ইহাদের মধ্যেও কএকটা গোষ্ঠীপতি আছে ; কিন্তু তাহারা সামান্ত ঘরেও আপনাদের পুত্রকন্যার বিবাহ দিয়া থাকে। ইছাদের বিবাহ প্রণালী ব্রাহ্মণকায়স্থদিগের মত। কোন কোন বিবাহে কুশণ্ডিকাও হয় এবং কোথাও কোথাও কুশণ্ডিকা হয় না। বিবাহের অঙ্গালীন সমস্ত কাৰ্য্যের পর অগ্নিসাক্ষ্য করিয়া বিবাহ কাৰ্য্য সমাধা হয়। ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে ইহার ব্রাহ্মণাদি উচ্চশ্রেণীর হিন্দুদিগের অনুকরণ করে। অধিকাংশই শাক্ত। বৈষ্ণবের সংখ্যা অতি কম । যে সকল ব্রাহ্মণের নবশাখের যাজকতা করিয়া থাকেন, তাহারাই ইছাদের গৃহে পৌরোহিত্য করেন। প্রচুর পাণ উৎপরের আশায় ఫి ఈ