পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இம் - हैम्भिब्रां * : ੋ ভাহা হুইতে একটা টাকা হারাণীর হাতে দিলাম। বলিলাম, একটা টাকার এক শিশি কলপ কারও হাত দিয়া কিনিয়া আনিয়া দে।” হারাণী হাসিয়া ফুটপাট । হাসি থামিলে বলিল, “কলপ নিয়ে কি করবে গা ? কার চুলে দেবে ” আমি । বামন ঠাকুরাণীর । এবার হারাণী হাসিতে হাসিতে বসিয়া পড়িল । এমন সময়ে বামন ঠাকুরাণী সেখানে আসিয়া পড়িল । তখন সে, হাসি থামাইবার জন্য মুখে কাপড় গুজিয়া দিতে লাগিল। কিছুতেই থামাইতে না পারিয়া সেখান হইতে পলাইয়া গেল। বামন ঠাকুরাণী বলিলেন, “ও অত হাসিতেছে কেন ?” আমি বলিলাম, ওর অন্য কাজ ত দেখি না। এখন আমি বলিয়াছিলাম যে, বামন ঠাকুরাণীর চুলে কলপ দিয়া দিলে হয় না ? তাই অমন করছিল।” বামন ঠা। তা অত হাসি কিসের ? দিলেই বা ক্ষতি কি ? শোণের মুড়ি শোণের মুড়ি বলে ছেলেগুলা খেপায়, তা সে দায়ে ত বঁচিব ।” স্বভাষিণীর মেয়ে হেমা অমনই আরম্ভ করিল, চলে বুড়ী, শোণের মুড়ী, খোপায় ঘেটু ফুল। হাতে নড়ি, . গলায় দড়ী, কাণে জোড়া ফুল। হেমার ভাই বলিল, “জোলা দুম !" তখন কাহারও উপর জোলা হম পড়িবে আশঙ্কায় সুভাষিণী তাহাকে সরাইয়া লইয়া গেল। .* বুঝিলাম, বামনীর কলপে বড় ইচ্ছা। বলিলাম, “আচ্ছ, আমি কলপ দিয়া দিব।” - o - বামনী বলিল, “আচ্ছ, তাই দিও। তুমি বেঁচে থাক, তোমার সোনার গহনা হোক । তুমি খুব রাধতে শেখ ।” হারাণী হাসে, কিন্তু কাজের লোক। শীঘ্র এক শিশি উত্তম কলপ আনিয়া দিল । আমি তাহা হাতে করিয়া গিল্পীর পাক চুল তুলিতে গেলাম। গিল্পী জিজ্ঞাসা করিলেন, “হাতে কি ও " আমি বলিলাম, “একটা আরক। এটা চুলে মাখাইলে সব পাকা চুল উঠিয়া আসে, কাচা চুল থাকে।”